আখের ফলনে হাসি,দামে খুশি

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৭

এমএইচ শিপন,বোরহানউদ্দিন(ভোলা) প্রতিনিধি

ভোলার বোরহানউদ্দিনে অনুকূল আবহাওয়া পোকামাকড়ের আক্রমন তুলনামূক কম হওয়ায় আখের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে বাজারে দামও সন্তোষজনক হওয়ায় কৃষকরা খুশি তবে মধ্যসত্ত্বভোগী পাইকারদের কাছে আখের ক্ষেতসহ বিক্রি করে দেয়ায় কৃষকের তুলনায় লাভের বড় অংশ গেছে পাইকারদের পকেটে কৃষকরা দাবি করেছেন আখ বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাঁদের লাভ যেমন বেশি হত, অন্যান্য কৃষকরাও আখ চাষে আগ্রহী হত

 

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবছর ১৩০ হেক্টর জমিতে প্রায় হাজার মে. টন আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ওই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে হেক্টরপ্রতি ৪৬ মেট্রিক টন আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে

গেছে

 

কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া এবং সঠিক পরিচর্চার কারণে আগের ফলন যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো হয়েছে তবে পোকার আক্রমন ঠেকাতে অতিরিক্ত বালাইনাশক প্রয়োগ না করা লাগলে প্রতি শতাংশে আরো এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা বেশি লাভ হতো

 

উপজেলার সব এলাকায় আখ চাষ হলেও এর সিংহভাগ উপজেলার বড়মানিকা কুতুবা ইউনিয়নের উৎপাদন হয় বড়মানিকা ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের বর্গা চাষি ইসহাক, মো. রাশেদ, খোরশেদ আলম, আব্দুল মালেক কামাল হোসেন জানান, বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইন্সটিউটের  সরেজমিন বিভাগ বছর আগে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি রঙ বিলাস অমৃত জাতের বীজ আখ সরবরাহ করেছে

 

এছাড়া  তারা নিজেরা সংগ্রহ করে সিও-২০৮ জাতের আখ বোম্বাই-২০৮ জাতের চাষ করেছেন

 

আখ চাষি  মো. ইসহাক জানান, ৫২ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করে তার ৫৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে পুরো ক্ষেত তিনি ঠিকা লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন মো. রেশাদ আলী ৫৬ শতাংশে আখ চাষ করে খরচ হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা

 

বিক্রি করেছেন লাখ ৭৫ হাজার টাকা ৬০ শতাংশ চাষ করে আব্দুল মালেক ও কামাল হোসেন উভয়ের খরচ পড়েছে ৯০ হাজার টাকা, বিক্রি করেছেন লাখ ৮০ হাজার টাকা করে

 

কুতুবা ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের ছোটমানিকা গ্রামের আখ চাষি  হোসেন মোল্লা ৪০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করে খরচ পড়েছে ৭০ হাজার টাকা, বিক্রি নেমেছে লাখ ২০ হাজার টাকা

 

কৃষকরা আরো জানান, কৃষি অফিসের লোকজন তাদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন কৃষকরা আরো জানান, আখ বিক্রি ছাড়াও প্রতি শত আখ ক্ষেত থেকে পরিবহনে তুলে দিলে হাজার টাকা করে বাড়তি আয় হয়

 

বড়মানিকা ইউনিয়ন অংশের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান রনি জানান, আখ চাষিদের পাশে থেকে সব সহায়তা করা হয়েছে

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ এম শামীম জানান, আখচাষে ঝুঁকি কম, মূলধন কম কিন্তু লাভ বেশি এছাড়া একটা পর্যায় পর্যন্ত এর সাথে একাধিক সাথি ফসল করা যায় বর্তমানে চিবিয়ে খাওয়া জাতের আখ চাষকে জনপ্রিয় করতে উদ্ধুদ্ধকরণ

প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি

 

যাযাদি/এস