নড়াইলে কৃষকের মুখে হাসি,বৃষ্টি হওয়ায় বেঁচে গেছে কোটি টাকার ডিজেল

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:০৫ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:১১

নড়াইল (কালিয়া) প্রতিনিধি

গত কয়েক মাসের অনাবৃষ্টির পর গত ৫ দিনের থেমে থেমে ভারি বর্ষনে আবাদি জমি পানিমগ্ন হওয়াসহ ডোবা ও নালা গুলো পানিতে ভরে ওঠায় নড়াইলের কালিয়ার কৃষকরা যেন প্রান ফিরে পেয়েছে। একই সাথে বেঁচে গেল প্রায় ১ কোটি টাকার ডিজেলও। 

ঝর-ঝর বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জমি তৈরীসহ আমনের চারা রোপনে যেমন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আবার জমিতে দাড়িয়ে থাকা পাট কেটে পচানী দিতেও তারা উঠে পড়ে লেগেছেন। ইতিপূর্বে রোপনকৃত শুকিয়ে যেতে বসা আমনের চারাও নতুন জীবন পেতে শুরু করেছে।সব মিলিয়ে কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েই কোমর বেঁধে নেমেছেন বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার হেক্টরেরও বেশী জমিতে আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।  

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, কালিয়ায় ২৬ হাজার ৪৩৫ হেক্টর আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে। চলতি বছর ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে।এর মধ্যে সেচ সুবিধা বর্হিভূত জমির পরিমান রয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর এবং ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদন করা হয়েছে। কাঙ্খিত বৃষ্টির কারনে স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৯৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৩০ মেট্রিকটন ডিজেলের সাশ্রয়  হয়েছে।           

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর আমন মৌসুম শুরুর পর থেকে গত কয়েক মাস যাবত অনাবৃষ্টির কারনে প্রকৃতির উপর নির্ভশীল আমন চাষীরা পানি সংকটের কারনে জমি তৈরীসহ চারা রোপন করতে ও পাটচাষীরা পাট পচাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন। জমিতে রোপন করা ধানের চারাও শুকিয়ে যেতে শুরু করেছিল। যা এখন নতুন জীবন পেতে শুরু করেছে। মৌসুমের শেষে হলেও গত ৫ দিনের বর্ষনে ওইসব জমিতে পানি জমায় এবং ডোবাও নালা পানিতে ভরে যাওয়ায় কৃষকরা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন। 

উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. আশিকুজ্জামান বলেছেন, তিনি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে এবছর দেড় বিঘা জমিতে আগেই চারা রোপর করেছেন। পানির অভাবে সেই চারাগুলো মরতে শুরু করেছিল। বৃষ্টির সুবাদে সেগুলো আবার জীবন্ত হয়ে উঠছে। এখন তিনি আরও দেড় বিঘা জমি জমি তৈরী করেছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবির কুমার বিশ্বাস বলেছেন, অনাবৃষ্টির দুর্যোগ কাটিয়ে কাঙ্খিত বৃষ্টিতে আমন ধানের চাষ যেমন সহজ হয়ে পড়েছে। তেমন পাট নিয়েও চাষীদের দৃশ্চিন্তা দূর হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষকরা প্রায় কোটি টাকার ডিজেল কেনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। প্রকৃতির উপর ভরসা করে ইতিমধ্যে যারা ধানের চারা রোপন করেছেন,  যারা রোপন করতে পারেননি সকলে সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবেন।