অধিক লাভের কারনে বারোমাসী আম চাষে ঝুঁকে পড়ছে বগুড়ার আম চাষিরা। অসময়ের এই আমের কেজি ৫শ টাকা হলেও কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। এক বছরে তিনবার ফলনশীল এই জাতের আম চাষ বেশ সাড়া ফেলেছে।
জানাযায়, বগুড়া জেলার ধুনট, শেরপুর, গাবতলী, শাহজানপুর সহ প্রায় ১২টি উপজেলাতেই বারী-১১, কাটিমন, সুইট কাটিমন জাতের বারোমাসী আম চাষ হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও এসব আম চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে অনেকেই।
ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের চাঁন মিয়া জানান, তিনি ৩ জাতের ২০০টি আম গাছ লাগিয়েছেন। তার আম বাগানের গাছে গাছে আম ঝুলছে। কিছু আম বাহিরে ঝুলছে, আবার কোন আম কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন চাঁন মিয়া। বছরে তিন বার গাছে আম ধরায় এটাকে বারমাসী আম বলে থাকেন অনেকে।
চাঁন মিয়া আরো জানান, তার বাগানের আম পাকা শুরু হয়েছে। ৫শত টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছেন। প্রতিটি গাছে ১০ কেজি আম পাওয়া যায় এবং মুকুল আসার পর চার মাসে আম পাকা শুরু হয় বলেও জানান তিনি।
শেরপুরের খামারকান্দি গ্রামের কৃষক জহরুল ইসলাম, তিনি বাড়ির অঙ্গিনায় চারটি আম গাছ লাগিয়েছেন। আমগুলো কাঁচাও মিষ্টি। অনেকেই তাই কাঁচা মিঠা আমও বলে থাকেন। এছাড়াও এই আম অন্যজাতের আমের মতোই মিষ্টি ও সুসাধু।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, আমগুলো থাইল্যান্ডের জাত। সরকারী পর্যায়ে প্রথমে এই গাছের চারা আমদানি করা হয়। পরে দেশেই হর্টিকালচারে এখন চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়েও চারা তৈরি করছে অনেকেই।
তিনি আরো জানান, শুধু এই জাতের আমের বাগান নয়, ব্যক্তি পর্যায়ে লোকজন বাড়ী বা অঙ্গিনায় এই জাতের আমগাছ রোপন করছেন। চারা রোপনের এক বছর পর থেকেই আম ধরতে থাকে। বছরে তিনবার আম ধরে এসব গাছে। আম গাছের উচ্চতার উপর ফলন নির্ভর করে। তবে প্রথম বছরেই প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২ কেজি করে আম ধরে।
যাযাদি/ সোহেল