বোদায় বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে ফসলের, কৃষকের স্বস্তির হাসি

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৬

বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
ছবি-যাযাদি

পঞ্চগড়ের বোদায় বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফসলের ক্ষেত। বৃষ্টির কারণে ভুট্রা, বাদাম, মরিচ ও বোরো ফসলের সজীবতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে স্বস্তি দেখা গেছে স্থানীয় কৃষকের মাঝে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বেশিভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। বর্তমানে ভুট্রা, বাদাম, মরিচ ও বোরো মৌসুম। উৎপাদনের দিক থেকে এখানকার কৃষক বাদাম, ভুটা, মরিচ ও বোরো ফসলের ওপর বেশি নির্ভরশীল। বোরো ধানের অন্যতম উপকরণ সেচ। যা বৃষ্টির ফলে পাওয়া গেছে। এতে কৃষক অনেক আনন্দিত। 

চলতি মৌসুমে বোরোর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১২৫০ হেক্টর, ভুট্রা ৪৫০০ হেক্টর, মরিচ ২০০০ হেক্টর, বাদাম ২৩০০ হেক্টর। বোরো ধান তথা মাঠের ফসলের জন্য এ মুহূর্তে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন ছিলো। গত বরিবার টিপ টিপ বৃষ্টি ও গতকাল সোমবার থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে ফসলের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। বাদাম, ভুটা ও মরিচ চাষীরা এর ফলে সুবিধা পাবে। এছাড়াও আমে বৃষ্টি কারণে গুটিঝড়া হ্রাসসহ ফলন বৃদ্ধি পাবে। 

এ বিষয়ে বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ছেতনাইপাড়া এলাকার বোরো চাষি ওসমান গণি বলেন, এ বৃষ্টি আমাদের কাছে ঈদের খুশির মতো। এতে ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। টাকা খরচ করে ৫-১০ দিন পানি দিতে হবে না। কথা হয় বোদা সদর ইউনিয়নের নয়াদিঘী গ্রামের বাদাম ও মরিচ চাষী নুর নবী সাথে, তিনি বলেন এ বছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলি জমি শুকিয়ে আছে। গাছ বৃদ্ধি কম হয়েছে। 

বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে। আরো কথা হয় ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের ভুল্লীপাড়া এলাকার মরিচ চাষি দেলোয়ার হোসেনের সাথে, তিনি বলেন ইতিমধ্যে তার মরিচ গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর পোকা মারা যাবে। এই বৃষ্টি মৌসুমী সকল ফসলের জন্য লাভবান হবে কৃষকরা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আহম্মেদ রাশেদ উদ নবী বলেন, হঠাৎ এ বৃষ্টি ফসলের জন্য আশীর্বাদ। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমবে। ভুট্রা, বাদাম, মরিচ সহ মৌসুমী জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে আম দ্রুত বাড়বে এবং ঝরে পড়া বন্ধ হবে। 

যাযাদি/ এস