বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নকলায় সূর্যমুখী চাষে সফলতার আশা

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ২৩ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৩
ছবি-যাযাদি

শেরপুরের নকলায় প্রথমবারের মত পতিত জমিতে সূর্যমূখী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষীরা। এতে একদিকে যেমন আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি পতিত অনাবাদি জমিকে কাজে লাগিয়ে লাভের আশা করছেন কৃষকরা। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ।

সরকারি প্রণোদনায় পতিত জমিতে এ সূর্যমূখী চাষ বদলে দিতে পারে এই এলাকার মানুষের জীবনচিত্র। বাড়বে সূর্যমুখী তেলের চাহিদা, তাই সম্প্রসারিত হবে সূর্যমুখীর খেত। “সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলে লিনোলিক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে, চাষিরাও লাভবান হবেন।” এমটাই প্রত্যাশা এই অঞ্চলের কৃষকদের।

নকলা উপজেলার গনপদ্দী ও গৌড়দ্বার ইউনিয়নের ১একর পতিত জমি প্রণোদনার মাধ্যমে চাষের আওতায় নিয়েছে কৃষি বিভাগ। দুইজন কৃষককে দেওয়া হয়েছে প্রনোদনার বীজ ও সার। এই কর্মসূচি সফল হলে লাভবান হবে পিছিয়ে পরা এ অঞ্চলের মানুষ। সুযোগ হবে কর্মসংস্থানের। ‘কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ’ থাকায় ওই এলাকার আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। উপজেলার গনপদ্দী এলাকার আমিনুল ইসলাম ও গৌড়দ্বার এলাকার হাসেম মিয়া নামের চাষি ৫০ শতাংশ করে ১ একর জমিতে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। প্রথমবার বীজ রোপণে সূর্যমুখী ফুলের ফলনও ভালো হয়েছে। সূর্যমুখীর ফলনে সন্তুষ্ট তারা। ভবিষ্যতে তারা আরও বৃহৎ পরিসরে সূর্যমুখীর চাষ করবেন।

উপজেলার গনপদ্দী এলাকার সূর্য্যমুখী চাষী আমিনুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। আমার সূর্যমুখী ফুলের জমি দেখার জন্য দূরদূরান্ত লোকজন ছুটে আসছে। বিকেল বেলায় অনেকে লোকজন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেখতে আসেন এ সূর্যমুখী ফুলের জমি, জমির পাশে ছবি তুলেন সময় কাটান অনেকেই। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! শুনছি এটি খুবই লাভজনক একটি ফসল।

গৌড়দ্বার এলাকার সূর্য্যমুখী চাষী হাসেম মিয়া বলেন, সূর্যমুখীর তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোনো অংশই ফেলা যায় না। এছাড়া সূর্যমুখি চাষের পরও আমি যথা সময়ে আউশ ধানের চাষ করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কৃষি প্রনোদনার আওতায় সূর্য্যমুখী চাষীদের বিনামুল্যে বীজ, সার ও পরামর্শ দিয়েছি। ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও মাঠ পরিদর্শন করেছেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলনও খুব ভাল হইছে। আসা করছি আগামীতে সূর্যমূখীর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে