সীতাকুণ্ডে মালচিং পদ্ধতিতে নতুন প্রজাতির তরমুজের বাম্পার ফলন

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:০৩

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টেরিয়াইল গ্রামে এ প্রথমবার ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে ভরা সু-স্বাদু ও মিষ্টি ইয়োলো বার্ড,ব্ল্যাক বেবি জাতের গ্রীষ্মকালিন তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। নতুন জাতের এদুটি তরমুজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটির উপরের অংশ সবুজ এবং ভেতরের অংশটি পুরোটাই হলুদ। আর অন্যটি হচ্ছে গোল আকৃতির। 

উপরের অংশ কাল ভিতরের অংশ লাল।এ উপজেলায় মৌসুমে নতুন নতুন প্রজাতির ফল চাষকরে অনেকেই কৃষিতে সফল হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০ জুলাই মালচিং পেপার পদ্ধতিতে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কায়ুম টেরিয়াইল গ্রামে এ প্রথম গ্রীষ্মকালিন ইয়োলো বার্ড,ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন।

তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ৪০ শতক খালি জায়গায় ইয়োলো বার্ড,ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এতে বীজ সার,ভেষজ বালাই নাশক, মালচিং পেপার বিনা মূল্যে কৃষি অফিস থেকে সংগ্রহ করেছি। তারপরেও বিভিন্ন বাবদ খরচ পরেছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত। 

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দেড় লক্ষ টাকার মত ইয়োলো বার্ড,ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।অন্যান্য কৃষরাও উচ্চ মূল্যের ফসল তরমুজ চাষ করার জন্য উৎসাহী হবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে রাতের আঁধারে কেবা কারা আমার ক্ষেতের প্রায় ১শ’টি তরমুজ ছিড়ে ফেলে রেখে চলে গেছে । 

এদিকে এখানে দায়ীত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, নতুন পদ্ধতিতে কৃষক কাইয়ুম ইয়োলো বার্ড,ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। তরমুজের ফলনও অনেক ভাল হয়েছে। হলুদ আঠালো ফাঁদ ও ফেরোমন ফাঁদের মাধ্যমে তরমুজ চাষকরা হচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, গ্রীষ্মকালিন ইয়োলো বার্ড,ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ এ প্রথম টেরিয়াইল গ্রামে চাষ হয়েছে।  ফলনও হয়েছে অনেক বেশি। ভিটামিন ও পুষ্টিতে ভরা এ তরমুজ গরমে পানির শূন্যতাও দূরকরবে ।এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন সি।এটি আকৃতিতে যেমন বড়, ঠিক তেমনি পুষ্টি ও গুণের দিক দিয়েও অনেক বড়। তিনি বলেন,নতুন প্রজাতির তরমুজ চাষে আমরা প্রতিটি অঞ্চলে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। 

যাযাদি/ এস