ওসমানীনগরে অর্জিত হয়নি আউশের লক্ষ্যমাত্রা
প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:২৬
সিলেটের ওসমানীনগরে আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এ বছর মাত্র ২৫ ভাগ জমিতে আউশের চাষ হওয়ায় কৃষকের মুখে নেই ফসল ঘরে তোলার চিরকালিন আনন্দ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৪শ' হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১০ হাজার ৫শ' মেট্রিকটন। কিন্তু অত্যাধিক খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে এবার মাত্র এক চতুর্থাংশ (১ হাজার ৯৫ হেক্টর) জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। অনুরূপ ভাবে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৭শ’ ৩৯ মেক্ট্রিক টন ধান। যা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
উপজেলার আমিনপুরের কৃষক মুক্তার মিয়া জানান, প্রথমদিকে কৃষকরা ব্যাপকহারে আউশ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেন। কিন্তু পরবর্তিতে পানির অভাব ও বৈরি আবহাওয়ার কথা ভেবে অনেকেই চাষ থেকে পিছিয়ে যান। তবে তিনি ৪ বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এক্ষেত্রে সেচ ও শ্রম দিতে হয়েছে বেশী। উৎপাদন খরচও অন্যান্য বছরের চেয়ে ২০/২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।
জামতলার কৃষক লুদু মিয়া বলেন, 'সময় মতো বৃষ্টিপাতের অভাব ও টানা খরার কারণে এবার আউশের চাষ করে অনেক চাষীকে লোকসান গোনতে হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়ার জন্য অনেকের ফসল থোর অবস্থায় মাঠেই পুড়ে গেছে। তবে সরকারি বীজ ব্রি-৪৮ও ব্রি-৯৮ ধানের চাষীরা অপেক্ষাকৃত ভালো ফলন পেয়েছেন।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উম্মে তামিমা বলেন, 'সরকার থেকে আউশ চাষীদের বীজ, সারসহ সবধরণের সহায়তা করা হয়েছে। তবে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আবাদ কম হয়েছে । উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়নি । যতটুকু আবাদ হয়েছে তাতে উৎপাদন খারাপ বলা যাবে না। আশা করছি, প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না থাকলে ও সময় মতো বৃষ্টিপাত হলে আগামীতে আউশের আবাদ ও উৎপাদন দুটোই বাড়বে।'
যাযাদি/ এস