মেহেরপুরে একই জমিতে এক সাথে চার ফসলের আবাদ 

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:০৬

গোলাম মোস্তফা, মেহেরপুর প্রতিনিধি

একই জমিতে এক সাথে চার ফসলের আবাদ করে সাড়া ফেলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামের চাষী স্বপন। গত দুবছর আগে দুই ফসল, পরের বছর তিন ফসল আবাদ করে লাভবান হওয়ায় এবছর সে একসাথে চার ফসলের আবাদ করেছে। তার জমিতে এখন আদা, ওল, মুখি কচু ও মরিচের গাছ একই সাথে বেড়ে উঠছে। ভাল লাভের আশা করছেন চাষী। 

মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামের প্রান্তিক চাষী স্বপন ১৫ শতাংশ পরের জমি বর্গা নিয়ে দু’বছর আগে একই জমিতে আদার সাথে সাথী ফসল হিসেবে মরিচের আবাদ করে। এই আবাদে সে লাভবান হওয়ায় পরের বছর ৩৩ শতাংশ জমিতে দুই ফসলের সাথে যোগ করেন ওলকচু। এখানেও সে লাভবান হওয়ায় এবছর ৭০ শতাংশ জমিতে সে তিন ফসলের মধ্যে মুখি কচু যোগ করে চার ফসল আবাদ করেছে। তার জমিতে এখন আদা, মরিচ, ওলকচু ও মুখি কচুর গাছ একই সাথে বেড়ে উঠছে। চাষী স্বপন যায়যায়দিনকে জানায়, একই খরচে তার চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। 

একসাথে চার ফসল করার সুবিধা হলো এর মধ্যে কোন ফসলে লোকসান হলে অন্য ফসল থেকে তা পাষিয়ে যায়। উৎপাদনও ভাল পাওয়া যায়। ফলে লোকসানের কোন সম্ভাবনা থাকেনা। প্রথমে হলুদ উঠবে, এরপর ওলকচু, তারপর মুখি কচু শেষে থাকবে মরিচ। বর্তমানে সে মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করছে। তার আশা সে এবারও ভাল লাভবান হবে। তার এই ফসল দেখতে জমিতে আসে অনেকে।

একই জমিতে যে একই সাথে চার ফসল করা যায় তার বাস্তব চিত্র দেখে এলাকার চাষীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। আগামীতে তার মতো করে আবাদ করতে চাই এলাকার অনেক চাষী। 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, চাষী স্বপনের মতো এভাবে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করলে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি থেকে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব যেটা প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া। এক সাথে চার ফসল আবাদ করলে রোগবালাই কম হয়। আরো সুবিধা হলো একই খরচে চারটি ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে। তাছাড়া একটাতে লোকসান হলে অন্যটি থেকে পুষিয়ে নেওয়া যায়। ফলে চাষীর লোকসান হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। তিনি আরো জানান মেহেরপুর এলাকার মাটি খুব উর্বর, তাই এই মাটিকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধের পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

যাযাদি/ এস