ঈশ্বরদীতে রঙীন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক শফিকুল

ছবি: যায়যায়দিন

বেগুনি বা ভেলেনটিনা, হলুদ বা কেরাটিনা এবং সবুজ প্রজাতির দেখতে অনেকটা ঝিনুক আকৃতির অথবা দেখতে অনেকটা গম্বুজের মত। এই তিন জাতের রঙীন ফুল কপি চাষ করে সফল হয়েছেন ঈশ্বরদীর কৃষক শফিকুল ইসলাম। ঈশ্বরদী উপজেলায় তিনিই ২য় বারের মত এই রঙীন জাতের ফুল কপি চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। দেখতে দৃষ্টি নন্দন ও স্বাদে ভিন্নতার কারনে প্রতিদিন উৎসুক জনতার আনাগোনা বাড়ছে তার এই রঙ্গীন ফুল কপির জমিতে। দর্শনার্থীদের অনেকেই জমি থেকেই সংগ্রহ করছেন বাহারী রঙের এই ফুলকপি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী মাথালপাড়া কৃষক শফিকুল ইসলাম নতুন জাতের এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি ঐ গ্রামের আঃ সাত্তারের ছেলে।

জানতে চাইলে কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, রঙিন ফুল কপির কথা আমি লোক মুখে শুনে গত বছর ২ বছর যাবৎ চাষ করছি। এতে সরকারী কোন অনুদান না থাকলেও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন আমাকে সহযোগীতা করেন। তাদের সহযোগীতাতেই এবারও ১০ কাঠা জমিতে সবুজ, বেগুনী ও হলুদ জাতের রঙীন জাতের ফুল কপির চাষ করেছি। ফলন ও বেশ ভালো হয়েছে। চাহিদার সাথে সাথে ভালো দামও পাচ্ছি। খেতে সু-স্বাদু হওয়ায় অনেকেই ক্ষেত থেকেই সংগ্রহ করছে। কেউবা সংগ্রহ করছে শখের বসে। 

তিনি আরও বলেন মাত্র তিন হাজার টাকা খরচ করে এখন পর্যন্ত প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা বিক্রি করেছি, আরো করবো। সব মিলিয়ে বেশ ভালো আয় করছি এই রঙীন ফুল কপিতে। 

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি সপ্ম্রসারন অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেএম সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া জানান, কৃষির জন্য বিখ্যাত ঈশ্বরদীতে এবার মোট ৭২০ হেক্টর জমিতে ফুল ও বাধা কপির চাষ হয়েছে। ঈশ্বরদীতে এবারও ২য় বারের মতো চাষ হয়েছে রঙিন ফুল কপির । উপজেলা কৃষি অফিস থেকে রঙীন কপি চাষে কৃষকদের নানান পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হয়েছে।

যাযাদি/ এস