পার্বতীপুরে আলুর বাম্পার ফলন
প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:১২

আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় চলতি রবিশস্য মৌসুমে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আলুর বাজার দর তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাসা বিরাজ করছে।
জানা গেছে,দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় চলতি রবিশস্য মৌসুমে ৪ হাজার ৫শ' হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা হয়। ৮০ টাকা কেজি দরে আলু বীজ সংগ্রহ করে কৃষকরা জমিতে আলু বীজ রোপন করেন। লাভের আশায় কৃষকরা জমিতে চড়া দামে রাসানিক সার কীটনাষক ঔষুধ প্রয়োগ করেন। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় ফলনও হয় বেশ ভাল। কিন্তু আলুর দাম নেই বললেই চলে। বতর্মানে পার্বতীপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে কম দামে। ফলে কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
পার্বতীপুর উপজেলার ছোট হরিপুর গ্রামের আলু ক্ষেতের জমির মালিক জসিম (৪৫), মজিবার রহমান (৩৪),কালু মিয়া (৫৭) বলেছেন,এবারে অনেক আশা করি আলু গাড়ছিলাম। কিন্তু আশা পুরন হইল না বাহে। এক বিঘা ৬০ শতক জমিতে আলু লাগে লাভ তো দুরের কথা বিঘা প্রতি ৩-৪ হাজার টাকা লোকসান। কারন হিসাবে তারা বলেন আলু ক্ষেতে প্রচুর পরিমান কীটনাশক ঔষুধ স্প্রে করতে হয়। যে লোক দিয়ে ঔষুধ স্প্রে করতে হয় তার দিনমজুরী দিতে হয় ৭শ' টাকা করে। আমরা অনেক আশা করে আলু লাগাই ছিলাম। ১ কেজি আলু বিক্রি করবো ২০-২৫ টাকা দরে। এখন জমি থেকে আলু তুলে বাজারে বিক্রি করছি দেশি আলু ১০-১২ টাকা দরে।
কাটিলাল আর ডায়মন্ড আলু বিক্রি করছি ৭-৮ টাকা দরে। তাহলে তোমরায় কও বাহে আলু লাগামো কি ভাবে। জমি থেকে আলু আহরনকারী দিন মজুর চানু বালা (৩৮),শ্রীমতি মানতিবনলা (৩৫),অজ বালা (৫২) বলেছেন, এবার আলুর ফলন ভাল হইছে,আলুর দাম নাই বেলে বাহে। এই জন্য এমরা হামাক দিন গেইলে ২৫০-৩০০ টাকা দিবে।
যোগাযোগ করা হলে পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিব হুসাইন বলেন,আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় চলতি রবিশস্য মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,গত বছরে আলুর দাম ছিল বেশী। কিন্তু এবারে দাম কম হলেও ফলন হয়েছে বেশি।
যাযাদি/ এমএস