হাওরে ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫০

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, ভৈরব, অষ্ট্রগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন হাওরে এ বছর কয়েক লাখ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানের জমি লাগানো হয়েছে। তবে এ বছর শুষ্ক আবহাওয়া থাকায় ধানি জমিতে পোঁকার আক্রমন খুবই কম। এ কারণে এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাক সূত্রে জানা গেছে। নিকলী উপজেলার বিভিন্ন হাওরে গেলে কৃষকরা জানান, জমি প্রস্তুতির সময় ডিএপি সারের কিছুটা সংকট ছিলো। তবে ইউরিয়া ও এমওপি সারের কোনো এই পর্যন্ত অভাব নেই। এই আবহাওয়া থাকলে ফসল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিংপুরের কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, আমরা নদীর পারের মানুষ। আমাদের ঘরে ধান উঠেও রেহাই নেই। কারণ ঘরে ধান উঠার আগেই সুদে আনা মহাজনদের টাকার পরিবর্তে ধান দিতে গিয়েই আমাদের গোলা অর্ধেক খালি থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন, শুধুই এই বছর নয়, প্রতি বছরই স্কীমের মালিকরা প্রতি একর ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়।
এদিকে বাজিতপুর উপজেলার হাসানপুর, হুমাইপুর, আয়নারগোপ কৃষকদের সাথে গতকাল দুপুরের আলাপ করলে জানান, সাব আমরা তো ঋণ গ্রস্ত কৃষক। যেই সরকারিই আসোক আমরা যারা প্রকৃত কৃষক, আমরা কেউই কৃষি কার্ড পাইনি গত ১২ বছর ধরে।
যারা রাজনৈতিক ভাবে কৃষক না হয়েও বিভিন্ন ধরনের কৃষি বিভাগ থেকে বীজ,সার সহ বিভিন্ন ক্ষূর্ধ যন্ত্রপাতি ও ট্রেনিং এর জন্য টাকাও পায়। একি সাথে তাদের নামে কৃষি কার্ড ও আছে। আমাদের তো ক্ষমতা নাই আমরা কিভাবে কৃষি কার্ড পাবো। অন্য দিকে এ বছর যদি কাল বৈশাখী না হয় তাহলে কৃষকের স্বপ্নীল স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়।
নিকলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নিকলী হাওরে এ বছর ১৪ হাজার ৩ শত ৮০ হেক্টের ইরি বোরো জমির লক্ষ মাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সিংপুর ও দামপাড়া হাওরে সবচেয়ে বেশি ইরি বোরো জমি লাগানো হয়েছে।
যাযাদি/ এমএস