কিশোরগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে ভুট্টা চাষে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৫, ১৫:৩৩

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

অন্য ফসলের তুলনায় চাহিদা ও  ভাল দাম থাকায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে প্রতি বছর ব্যাপক ভূট্টা চাষ  হয়ে  থাকে এ এলাকায় । তামাকের পরিবর্তে ভুট্টার চাষে চাষীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়লেও এ বছর অতি বৃষ্টির ও বৈরি আবহাওয়ার কারনে অনেক জমিতে পানি জমে  ভূট্টা গাছ পড়ে গিয়ে কয়েক হাজার জমির ভূট্টা ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। 

ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। অনেক চাষি ঋণ নিয়ে জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন সে চিন্তায় তারা দিশেহারা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পোল্ট্রি ফিড ও বেকারি ফ্যাক্টরিতে ভুট্টার চাহিদা বেশি  থাকায় সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৩২শত হেক্টর জমিতে  ভূট্টা  চাষ হয়েছে এ বছর।লক্ষমাত্রার  তুলনায় চাষ বেশি হলেও  অতি বৃষ্টি ও দমকা হওয়ার কারনে ভূট্টা গাছ মাটিতে পড়ে যায়। ফলে ভূট্টা  নষ্ট হয়ে যায়। 


বাহাগীলি ইউনিয়নের  ভূট্টা চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, এবার অতি বৃষ্টি-বাদলের কারণে ভূট্টা গাছ সব পড়ে গিয়ে ভূট্টা নষ্ট হয়ে গেছে।আর আবহাওয়া  খারাপ থাকায়    দিনমজুর পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে ক্ষেত হতে ভূট্টা বাড়িতে নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পরিজন নিয়ে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। ভূট্টা বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারনে দাম অনেকটা কম। 


 উপজেলার সদর  ইউনিয়নে  বাজেডুমুরিয়া গ্রামে নাজমুল ইসলাম জানান, তিনি ছয় বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। এ বছর অতি বৃষ্টি কারনে জমির ফসল ঘরে তুলতে পারেন নাই।  দফায় দফায় বৃষ্টি-বাদলের কারণে ভূট্টাক্ষেতে পানি জমে গেছে। সেই সাথে পাকা আঁটি বা তোরে পানি ঢুকে কালচে বর্ণ  ও ভূট্টা পঁচে  যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন এতে করে দাম কম হবে। এ বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে কেউ কোন পরামর্শ পাইনি।


উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ব্যাপক হারে ভূট্টার চাষ হয়েছে। সেই সাথে ফলনও ভাল হয়েছে। শেষ সময়ে এসে বৃষ্টির কারণে সামান্য সমস্যা দেখা দিয়েছে চাষিদের। তবে তোর পরিপক্ক হওয়ায়  ভূট্টা কোন  ক্ষতি হবে না।