বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

​সমৃদ্ধিশালী রাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি আজ ভাগাড়

জি, এম ফারুক আলম, মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৩৭

বিকাল হলেই সাহিত্যপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠত লাইব্রেরির আঙ্গিনা। যে লাইব্রেরিতে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হতো। বই পড়ে সাহিত্যপ্রেমীদের অনুভূতির ভুবন জেগে উঠত। অথচ সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে গেছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরির সেই জৌলুস। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত লেখকের লেখা ইতিহাস-ঐতিহ্য, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, গবেষণাধর্মী প্রায় দু হাজার বইয়ে সমৃদ্ধ ছিল এ লাইব্রেরি।

অযত্ন অবহেলায় এক সময়ের সমৃদ্ধিশালী এ লাইব্রেরি আজ পরিত্যক্ত হয়ে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। প্রায় মুছে যাওয়া সাইনবোর্ডটাই কোনো রকমে লাইব্রেরির অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের তহসিল অফিসের পাশেই ভাঙা দরজায় তালাবদ্ধ এ লাইব্রেরি অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে।

পলেস্তারা খসে পড়া ভবনের টিনের চাল থাকলেও তাতে টিন নেই। জানালাগুলো উইপোকায় খেয়ে ফেলেছে। লাইব্রেরির এক পাশে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তহসিল অফিসের ঝাড়–দার বয়োবৃদ্ধ ইমরান হোসেন।

লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাকালীন দপ্তর সম্পাদক ইকবাল কবীর জানান, এলাকার গুণীজনদের নিয়ে ডিসি অফিসের রাজস্ব বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে কেবিডি (খুলনা উন্নয়ন বোর্ড)-এর দুটি কক্ষে ১৯৮৯ সালে (বাংলা ১৩৯৬ সাল) এ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন চন্ডীপুর গ্রামের ড. আব্দুস সাত্তার (সাবেক ভিসি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়), সাধারণ সম্পাদক হানুয়ার গ্রামের আতিয়ার রহমান (সাবেক নাজির, যশোর ডিসি অফিস)।

এছাড়া মোবারকপুর গ্রামের ডা. মৃণাল কান্তি দাস (বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কসমেটিক সার্জারি) সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত. নওশের আলী, আসাদুজ্জামান রয়েল, রাজগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, প্রয়াত হাফিজুর রহমান দুলু, ব্যাংকার মোস্তাফিজুর রহমান কাবুল, পরিমল সাধু, নির্মল সাধুসহ ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। আজ অনেকেই বেঁচে নেই। যার উপদেষ্টা ছিলেন প্রয়াত এমপি অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান, অমাল কুমারসহ কয়েকজন। বর্তমানে লাইব্রেরি পুনরুজ্জীবিত করতে আলোচনা চলছে। তবে, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ফের লাইব্রেরিটির প্রাণ ফিরে পেত বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে