বইমেলা প্রতিদিন

বইমেলায় বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২২, ০০:০০ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২২, ০৯:২৫

রেজা মাহমুদ
পছন্দের বই কেনার পর মেলা প্রাঙ্গণে বসে সেগুলো পড়ছেন তিন তরুণী -ফোকাস বাংলা

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে পাঠক-দর্শনার্থীদের ঢল নামে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। এদিন দুপুর থেকেই বইপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রায় সব স্টল ও প্যাভিলিয়নে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। সবাই বই দেখছেন ও কিনছেন। এদিকে ক্রেতার চাপ বৃদ্ধিতে বাড়তি জনবল নিয়োগ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে। বৃহস্পতিবার ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও বই বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও মেলার বাকি দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা। এদিকে নতুন বইয়ের পাশাপাশি মেলায় আগে প্রকাশিত নতুন বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করতে দেখা গেছে অনেককেই। তবে মেলার বর্ধিত সময়ে প্রত্যাশানুযায়ী নতুন বই দেখা যায়নি। গত এক সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে নতুন বইয়ের সংখ্যা। প্রথম দুই সপ্তাহে গড়ে প্রায় দেড়শ বই প্রকাশিত হলেও শেষ দিকে এসে তা পঞ্চাশের নিচে নেমে গেছে। তবে ছুটির দিনে এই সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছে বেশকিছু প্রকাশনা। এদিন সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলায় বিক্রি বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ। চন্দ্রাবতী অ্যাকাডেমির পরিচালক রোকনুজ্জামান কাজল বলেন, সাধারণত মেলার পূর্বাংশে রমনা গেটে ছুটির দিন ব্যতীত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের চাপ দেখা যায় না। কিন্তু এদিন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বই বিক্রি করতে পেরেছেন তারা। এই ধারাবাহিকতা মেলার শেষদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তিনি। সাহিত্য প্রকাশের ম্যানেজার রশীদ হায়দার জানান, শেষ সপ্তাহে এসে বই বিক্রি বাড়বে এটা প্রত্যাশিত ছিল। বৃহস্পতিবার ছুটির দিন থেকে বেশি বই বিক্রি করেছে তার প্রতিষ্ঠান। একই কথা জানিয়েছে পার্ল পাবলিকেশন্স, আগামী প্রকাশনী, অবসরসহ অধিকাংশ স্টল। এদিকে ঢাকার বাইরে বই পাঠানো শুরু করেছে অনেক প্রকাশনা। তারা জানায়, ঢাকায় বইমেলা জমজমাট হওয়ায় বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার ব্যবসায়ীরা বইয়ের জন্য বলেছেন, সাধারণত মেলা শেষে এই প্রক্রিয়া শুরু হলেও এবার মেলা চলাকালীন বই পাঠিয়েছে অনেকেই। এদিকে কাঙ্ক্ষিত বই কিনতে পেরে খুশি সাধারণ পাঠকরা। মিরপুর থেকে বই কিনতে আসা শারমিন জানান, এর আগেও তিনি দুইবার মেলায় এসেছেন, তবে কাঙ্ক্ষিত বই কিনতে পারেননি। তবে আজ (বৃহস্পতিরা) বেশ কিছু বই কিনেছেন। শারমিনের মতো এদিন প্রায় সাবার হতেই ছিল অন্তত ২ থেকে ৩টি বইয়ের ব্যাগ। এদিকে বৃহস্পতিবার অমর একুশে বইমেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ৫৯টি। এছাড়ও বিকালে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলা সাহিত্যচর্চা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমাদ মাযহার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জসিম মলিস্নক এবং শামস আল মমীন। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং সঞ্জীব পুরোহিত।