এত রৌদ আর গরমে, রোজা রইয়্যা কাম হরতে অনেক কষ্ট 

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৯

এসএম আলমাস, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

আল্লাহ রোজা রইছি, তুমি মোগো এত কষ্ট দিও না।এত রৌদ আর গরমে রোজা রইয়্যা কাম হরতে অনেক কষ্ট।দুপুর বেলা নির্মান কাজ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার নির্মান শ্রমিক পলাশ রহমান।

সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীর  কলাপাড়ায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবয়েচে বেশি বিপাকে পড়েছে রোজাদার শ্রমজীবী মানুষরা।রোজা রেখে শ্রমজীবী মানুষগুলো তীব্র তাপদাহে করছেন ছটফট।

বৃহস্পতিবার(১৩এপ্রিল) কলাপাড়ার পর্যটন নগরী কুয়াকাটার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।ভ্যাপসা গরম আর অতিরিক্ত রোদের তাপে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এখানকার সাধারন কর্মজীবী মানুষজন। এতে চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবেনযাত্রা ।

দুপুর গড়াতেই রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বাজার গুলোর। তীব্র গরমের কারনে শিশু,বয়োবৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে সর্দি,কাশিতে।চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছে আক্রান্ত রোগীরা। 

রমজান মাস হওয়ায় শরীর ঠান্ডা রাখতে,বিনা প্রোয়জনে এ গরমে ঘড়ের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এবং ইফতারিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি খেতে বলছেন তারা।

ভ্যান চালক গফুর মিয়া বলেন, রোজা রেখে এত রোদ আর গরম আমি সয্য করতে করতে পারছি না বাবা।আমি এখন বাসায় চলে যাচ্ছি,আমার শরীর খুবই খারাপ লাগছে।ইফতারের পর ছাড়া আমি আর ভ্যান নিয়ে বের হতে পারবো না।

এদিকে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় কিছু কিছু দোকানে বেড়েছে ঠান্ডা পানীয়ের চাহিদা।রমজান মাস হওয়ার কারনে উন্মুক্ত ভাবে বিক্রি না করলেও গোপনে,লেবুর শরবত,তরমুজ,আইসক্রিম সহ বিক্রি বেড়েছে যাবতীয় এই সব ঠান্ডা পন্যের।

দিনমজুর নুর আলম বলেন, আমি একজন নির্মান শ্রমিক এই গরমে রোজা রেখে কাজ করতে খুব পরিশ্রম হয়,কিন্তু কিছু করার নেই পেটের দায়ে সবকিছু সয্য করেই কাজ করছি।কাজ করে পরিবারের বউ বাচ্চাদের খাবারের ব্যাবস্থা তো করতে হবে।

কলাপাড়া উপজেলা আবহাওয়া অফিসের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী আব্দুল জব্বার জানান,গতকাল কলাপাড়ার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৭.৯ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করেছে। তবে চলতি মাসে কালবৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই গরম কিছুটা কমে যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

যাযাদি/ এস