শত বছরের ‘ঢাকা গেট’ নতুন রুপ পাচ্ছে

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৩, ২১:৪৮

যাযাদি ডেস্ক

বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর প্রধান ফটক বা দ্বার নিয়ে আলাদা ইতিহাস রয়েছে। গৌরবের এক স্থান দখল করে আছে এসব ফটক। আমাদের দেশও কিন্তু ব্যতিক্রম নয়। ব্রিটিশ সময়কার ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ডয়'স মূল শহরের সঙ্গে রেসকোর্সকে সংযুক্ত করার জন্য ময়দানের উত্তর-পূর্ব দিকে একটি সড়ক তৈরি করেন। এই সড়কের প্রবেশপথে তৈরি করা হয় দুটি স্তম্ভ। এটি ইতিহাসে পরিচিত ঢাকা গেট নামে। 

ইতিহাসবিদদের এক তথ্যে বলা হয়েছে, ইসলাম খাঁর আমলে রমনা অঞ্চলে ছিল বাগে বাদশাহী নামে মোগল উদ্যান। বাগে বাদশাহীর প্রবেশপথে ছিল দুটি স্তম্ভ। পরে তা পুনর্নির্মাণ করে নামকরণ করা হয় ময়মনসিংহ গেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি ঐতিহাসিক মোগল স্থাপনা। এই গেটটি ঢাকা গেট, ময়মনসিংহ গেট নামেও পরিচিত। 

মোগল আমলে বুড়িগঙ্গা নদী হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে ব্যবহার করা হতো এ তোরণ। সেই সময় এর নাম ছিল 'মীর জুমলার গেট'। পরে কখনও 'ময়মনসিংহ গেট', কখনও 'ঢাকা গেট' এবং অনেক পরে নামকরণ করা হয় 'রমনা গেট'। 

ঐতিহাসিক এই মোগল স্থাপনাটি প্রায় ধ্বংস হওয়ার পথে ছিলো। তবে এখনো যতটুকু টিকে আছে তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না এই সেই গেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কার্জন হল ছাড়িয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমি যেতে চোখে পড়ে হলুদ রঙের মীর জুমলার তোরণ। 

৪০০ বছরের বাংলার এই ঐতিহ্যটি নতুন রুপ পাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের জন্য হয়তো এই মোগল স্থাপনাটি  নতুন রুপে আবার দেখা মিলবে।

যাযাদি/ এম