শেয়ারবাজারে লেনদেনে আরও উন্নতি

সপ্তাহজুড়ে পৌনে চার হাজার কোটি টাকার লেনদেন

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের শেয়ারবাজারে বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে লেনদেন ও সূচকে গতিশীলতা এসেছে। এর ধারাবাহিকতা বিগত সপ্তাহেও (১৫-১৯ জানুয়ারি) অব্যাহত ছিল। বিশেষ করে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে প্রায় পৌনে দুই হাজার কোটি টাকা। তবে সপ্তাহের প্রথম কয়েক দিন সূচক বৃদ্ধির কারণে অনেকেই বিক্রি করে মুনাফা নিয়েছেন। ফলে সপ্তাহের শেষ দিকে সূচক কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫-১৯ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১১৪টির দর বেড়েছে, ৬৮টির দর কমেছে, ২০৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ১১টির লেনদেন হয়নি। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে তিন হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ১২১ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৯ টাকার লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৭২৩ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৯২ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০.৩৯ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৬৫.৪৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.১৫ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৫৬ পয়েন্ট বা ০.৪৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৬৭.৭৩ পয়েন্টে এবং ২২০৮.৬১ পয়েন্টে। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষস্থানে চলে এসেছে জেনেক্স ইনফোসিস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ১০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনকৃত শেয়ারের বাজারমূল্য ২৯২ কোটি ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭.৫৮ শতাংশ। লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে যার বাজারমূল্য ২১৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৮১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে যার বাজারমূল্য ১৬৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার ১৪৩ কোটি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার, আমরা নেটওয়ার্কের ৯৯ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার, জেএমআই হসপিটালের ৯৬ কোটি ৫২ লাখ ১৫ হাজার টাকার, ইন্ট্রাকো সিএনজির ৮৯ কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৮৫ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, লাফার্জহোলসিম ৮৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৮৩ কোটি ৬১ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে বিগত সপ্তাহে শেয়ারের দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রগতি ইন্সু্যরেন্সের। সপ্তাহের শুরুতে প্রগতি ইন্সু্যরেন্সের উদ্বোধনী দর ছিল ৬১ টাকা ৪০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭৬ টাকা ৩০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা বা ২৪.২৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিটি জেনারেল ইন্সু্যরেন্সের ২৪.১৪ শতাংশ, ঢাকা ইন্সু্যরেন্সের ১৮.৪৫ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৬.৮৯ শতাংশ, বিডিকমের ১৬.১২ শতাংশ, ইন্দোবাংলা ফার্মার ১৫.৭৯ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১৫.৪৭ শতাংশ, গেস্নাবাল ইন্সু্যরেন্সের ১৫.২৮ শতাংশ, কর্ণফুলী ইন্সু্যরেন্সের ১৪.২৯ শতাংশ এবং জেমিনি সি ফুডের ১৪.২৭ শতাংশ দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ডিএসইতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে লিবরা ইনফিউশনের। সপ্তাহের শুরুতে লিবরা ইনফিউশনের উদ্বোধনী দর ছিল ৭৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৭৪৫ টাকা ৬০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কমেছে ৩৮ টাকা ২০ পয়সা বা ৪.৮৭ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জুট স্পিনার্সের ৪.৮৪ শতাংশ, রেনউইক যজ্ঞেশরের ৪.৭৮ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলের ৪.৭৫ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের ৪.৭২ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৪.৭০ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৪.৬৯ শতাংশ, অলটেক্সের ৪.৬৩ শতাংশ, উসমানিয়া গস্নাসের ৪.৬২ শতাংশ এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৪.৫৯ শতাংশ দর কমেছে।