চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থেকে অপহরণের শিকার হওয়া রিকশা চালককে পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় হাটহাজারী থেকে উদ্ধার করেছের্ যাব। একই সময়ে আরেক ভিকটিমকেও উদ্ধার করের্ যাব। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতের্ যাব-৭ এর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে হাটহাজারী থানার বারৈহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।

গ্রেপ্তাররা হলেন- হাটহাজারির পশ্চিম ধলই গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী ওরফে কালু চেয়ারম্যান (৬৮), নোয়াখালীর চরজব্বার থানার মো. খোকন (৩২), একই থানার পশ্চিম চরজব্বর গ্রামের মো. ইউসুফ (৩৬), একই গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের ছেলে মো. সেলিম (৫১), সুবর্ণচর থানার চরপানাউলস্নাহ গ্রামের মো. আলা উদ্দিন (৩৭), একই গ্রামের মো. নাজিম (৩৬), চরভাগ্যা গ্রামের মো. জহিরুল ইসলাম (৪৮) এবং নোয়াখালী সদর থানার গোড়াপুর গ্রামের মো. মোস্তফা শহিদুলস্নাহ রাজু (৩৩)।

র্

তেজগাঁওয়ে যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, একলাইনে চলছে ট্রেন 

যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, ২০ জানুয়ারি উত্তর হালিশহর এলাকা থেকে এক রিকশা চালককে অপহরণ করে হাটহাজারী এলাকায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ২১ জানুয়ারি সকালে হালিশহর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ভিকটিমের পিতা। এরপর ভিকটিমের বাবার মোবাইলে অপহরণকারীরা ফোন করে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে ২৬ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমসহ আরেক ভিকটিমকে পায়ে লোহার শেকল ও হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটি শিশুসহ নানা বয়সি লোকজনকে অপহরণ করে আটকে রাখত। ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে চাঁদা আদায় করত।