শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮শ' কোটি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

দেশের শেয়ারবাজারে বিগত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহ অর্থাৎ ২২-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন হাজার ৫০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহ থেকে লেনদেন কমেছে ৮শ' কোটি টাকা। সপ্তাহের প্রথম কয়েক দিন সূচক পতনের পর টানা চারদিন সূচক ইতিবাচক ছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ২২-২৬ জানুয়ারি ডিএসইতে ৪০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টির দর বেড়েছে, ১১৯টির দর কমেছে, ২০৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ১৩টির লেনদেন হয়নি।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে তিন হাজার ৫০ কোটি ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকার লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮শ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৬ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৮১ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৯৬.২৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬.৮১ পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২.০৯ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৭৪.৫৪ পয়েন্টে এবং ২২৩০.৭০ পয়েন্টে।

ওই সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনকৃত শেয়ারের মোট বাজার মূল্য ২২০ কোটি ২০ লাখ ৯১ হাজার টাকা, যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭.২২ শতাংশ।

লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ১২৯ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮ হাজার ৪৭৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজার মূল্য ১১৮ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বসুন্ধরা পেপারের ১১৩ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজার টাকার, সি পার্ল হোটেলের ৯৩ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৮৯ কোটি ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ৮৭ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার, জেমিনি সি ফুডের ৭৬ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, ইউনিক হোটেলের ৭৩ কোটি ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকার এবং ওরিয়ন ফার্মার ৬৭ কোটি ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আলোচ্য সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ঢাকা ইন্সু্যরেন্সের। সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা ইন্সু্যরেন্সের উদ্বোধনী দর ছিল ৫২ টাকা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৫ টাকা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর বেড়েছে ১৩ টাকা বা ২৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সি পার্ল হোটেলের ২০.৫০ শতাংশ, তাকাফুল ইন্সু্যরেন্সের ১৬.০৫ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৪.২৪ শতাংশ, ইউনিক হোটেলের ১৩.৯৮ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্সু্যরেন্সের ১৩.০১ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ১২.৪৭ শতাংশ, বিকন ফার্মার ১২.২১ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১০.৮৬ শতাংশ এবং প্রগতি লাইফ ইন্সু্যরেন্সের ১০.৫৬ শতাংশ দর বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ইনটেক লিমিটেডের। সপ্তাহের শুরুতে ইনটেক লিমিটেডের উদ্বোধনী দর ছিল ২৯ টাকা ৬০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সা। আগের সপ্তাহের চেয়ে এর দর কমেছে ৫ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৮.৫৮ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০.৪৮ শতাংশ, লুব-রেফের ৮.০৩ শতাংশ। নাভানা ফার্মার ৬.৭১ শতাংশ, আমরা টেকনোলজির ৫.১৫ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৪.৮৮ শতাংশ, সোনালী আঁশের ৪.৮৫ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনের ৪.৮৩ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৪.৮১ শতাংশ এবং জুট স্পিনার্সের ৪.৮১ শতাংশ দর কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে