নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নাগরিক সেবা চালাবেন ইশরাক
নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২৫, ১৬:০৪

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেবা কার্যক্রমের অচলাবস্থা কাটাতে নিজের তত্ত্বাবধানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মশক নিধন, জন্মসনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিজেদের তত্ত্বাবধানে চালু রাখার কথা জানান ইশরাক। এময় আদালতের রায় মেনে মেয়র পদে শপথ গ্রহণের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন ডিএসসিসিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে রায় তার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে সিটির মেয়র হিসেবে আমাকে ঘোষণা করেছে। কিন্তু সরকার আমাকে মেয়র পদে বসানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তাই আমরা গতকাল রোববার অবস্থান কর্মসূচি বিরতিহীনভাবে ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। আন্দোলন চলার সময় সব জরুরি সেবা কিন্তু চলমান ছিলো। আমরাই সেটা নিশ্চিত করেছি। আমরা বলেছি আমাদের আন্দোলনের জন্য যাতে জনগণের দুর্ভোগ না বাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। আমরা ঢাকা শহরে মশক নিধন কর্নসূচিকে বেগবান করার জন্য এবং সেটি যাতে চলমান থাকে সেটি নিশ্চিত করার জন্য আজকে থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করছি।’
ইশরাক বলেন, ‘আমরা ৭০টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। তাদের আমরা উৎসাহ দিয়েছি। তাদেরকে আমরা নিশ্চিত করেছি যে ভবিষ্যৎতে তাদের সমস্যাগুলো আমরা দেখবো। আগামীকাল মঙ্গলবার আমাদের ৭০টির বেশি ওয়ার্ড সচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। দৈনন্দিন যে সেবা সেগুলো চলবে, কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ড সচিবদের কার্যালয়ে জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট, নাগরিক সার্টিফিকেট, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসমূহ ওয়ার্ড সচিবদের মাধ্যমে জমা নেয়া হবে। যাতে আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় নগরবাসীর দূর্ভগ কমিয়ে আনতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। যাতে ডেঙ্গুর বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা মনিটরিং টিম করব। সরকার যেন আর জনদূর্ভোগ না বাড়িয়ে, একটা মিনিট ও কালক্ষেপণ না করে আদালত যে রায় দিয়েছে সেটির বাস্তবায়ন করে আমাকে যেন মেয়র হিসেবে শপথ করায়, এবং অচলাবস্থা যাতে কেটে যায় সে জন্য সরকারকে আহ্বান করছি।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি আমাদের আন্দোলনটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। ভোটাররা স্বতস্ফূর্তভাবে এখানে আসছে এবং তাদের দাবি জানাচ্ছে। সরকার যদি তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চায়, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তারা যদি দায়িত্ব পালন করতে চায় এবং সেটি তারা জনগণকে বিশ্বাস করাতে চায় তাহলে তারা যেন অতি দ্রুত শপথ করানোর আয়োজন যাতে বাস্তবায়ন করে। অন্যথায় এই আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাবো।’