কাফন পরে অবস্থান কর্মসূচিতে এনবিআর কর্মকর্তারা

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৫, ১৩:৩২

যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করেন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণ দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতিরসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। এসময় সংস্থাটির বিভক্ত করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ তৈরিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব রাখার জোরদাবি রাখেন।

সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে কাফনের কাপড় পরে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচি শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিক গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের ঢাকাস্থ সব দপ্তরে আজ সোমবার (২৩ জুন) তিন ঘণ্টা কলম বিরতিরসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা। তারা দুজনই রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত কমিশনার। সেই ঘোষণা মতে, আজ সকাল ৯টা থেকে এই কর্মসূচি চলছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।

কর্মসূচিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছে, অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণ ও সংস্থাটি বিভক্ত করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ তৈরিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব রাখার দাবি করছে তারা।

ঐক্য পরিষদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ জুন বিকেল ৫টায় রাজস্ব ভবনের নিচ তলার মেঝেতে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভা হয়েছিল। সভায় এনবিআরের অতিরিক্ত কর কমিশনার হাসান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারকে সভাপতি ও অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকাকে মহাসচিব করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ৩০১ সদস্যদের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়।

সেখানে বলা হয়, ঐক্য পরিষদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সামগ্রিক রাজস্ব সংস্কার ভাবনার অংশ হিসেবে কেমন এনবিআর চাই শীর্ষক সেমিনার আয়োজনে গত ১৯ জুন একটি প্রস্তুতিমূলক সভার জন্য কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে লিখিতপত্র দিলেও কক্ষ বরাদ্দ না দেওয়ায় সভায় নিন্দা জানানো হয়।

ঐক্য পরিষদ বলছে, কক্ষ বরাদ্দ না দেওয়ায় ‘রাজস্ব ভবনের নিচ তলার মেঝেতে সভাটি করা হয়। এর আগে গত ২ জুন একইভাবে কক্ষ বরাদ্দ না দেওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব ভবনের নিচ তলার মেঝেতে সভা করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।