নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার নিহত

প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫০ | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫১

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় একটি রেস্টুরেন্টের ভবনের মালিকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ ম্যানেজার মো. জামান কাজল (৫০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

এর আগে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভবনের মালিকের সাথে রেস্টুরেন্টের মালিকের দ্বন্দ্বে ভবনের মালিকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সুলতান ভাই কাচ্চি’ রেস্টুরেন্টে ম্যানেজার জামান কাজল । তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির দাগ ছিল। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সোমবার রাতে গুলিবিদ্ধ কাজল মারা যায়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। 

নিজতের নাম মো. জামান কাজল বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার শাহআলমের ছেলে। তিনি চাষাঢ়ার আঙ্গুরা কমপ্লেক্সে অবস্থিত ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল।

সোমবার রাতে রেস্তোরার মালিক শুক্কুর আলী বলেন, ‘রাতে মৃত্যুর খবর পেয়েছি। মরদেহ আনার প্রস্তুতি চলছে’।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এস আই শফিকুল ইসলাম জানান, তাকে মালিক পক্ষ মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ‘আজাহার তালুকদার ও তার চার ভাই চাষাঢ়ায় বাগে জান্নাত মহল্লায় আঙ্গুর ভিলা নামে একটি ছয়তালা বাড়ির মালিক। বাড়ির নিচতালায় থাকা বেশ কয়েকটি দোকান একেক ভাইয়ের নামে বরাদ্দ। রেস্তোঁরার মালিক শুক্কুর আলী আজাহারের ছোট ভাই আজিজুল হাওলাদারের কাছ থেকে ভাড়া নেয়। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় আজাহার রেস্তোরায় প্রবেশ করে পানির জন্য ১০ লাখ টাকা এককালীন বিল চায়। 

এসময় রেস্তোরার মালিক জানায়, ভাড়ার বিষয়ে আজিজুলের সাথে কথা বলবে। ভাড়া নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পরে আজাহার ও দোকানের মালিকপক্ষ। এক পর্যায়ে আজাহার ক্ষুব্ধ হয়ে ঘর থেকে পিস্তল ও শটগান নিয়ে আসে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এসময় রেস্তোরার ম্যানেজার কাজলের পেটে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। একই সময়ে আহত হন রাসেল নামে এক পথচারী। আজাহারকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে তার মেয়ে লাকিও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে মারধর শুরু করলে সে দৌড়ে ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দুইজন গ্রেপ্তার করে। 
এসএম