ইমতিয়াজ হত্যায় গ্রেপ্তার তিন, সমকামীরা ফাঁদে ফেলে খুন করে

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৪:১৫

যাযাদি ডেস্ক
স্থপতি ইমতিয়াজ-ফাইল ছবি

স্থপতি ইমতিয়াজ তেজগাঁও থানার ডমিসাইল এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করতেন। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। 

পরদিন তার স্ত্রী কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরদিন সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের চিত্রকোট কামারকান্দা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা। পরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় হত্যার পর লাশ বহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-১৯৪৪) জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে একটি সমকামী গ্রুপ কৌশলে ইমতিয়াজকে ডেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে। পরে দাবি করা টাকা না পেয়ে হত্যা করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মিল্লাদ হোসেন মুন্না (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও এহসান ওরফে মেঘ (২৩)।

সোমবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিবি জানায়, স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, গ্রেপ্তাররা সমকামী এবং হিজড়া সদস্য। তারা গ্রিন্ডার নামের একটি গে চ্যাটিং অ্যাপসের মাধ্যমে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে রুম ডেটের কথা বলে ডেকে আনতো। এরপর বিভিন্ন কায়দায় ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতো। সেই সূত্রে গত সাত মার্চ তারা ইমতিয়াজকে ফোন করে কলাবাগান থানার ৭৯/৩, ক্রিসেন্ট রোডের আরাফাতের বাসায় ডেকে নেয়। এক পর্যায়ে  আলিফের সহযোগী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার রুমে ঢুকে ভিকটিমকে মারধর এবং বড় অংকের টাকা দাবি করে। ভিকটিম টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার বুকে, পিঠে আঘাতসহ প্রচণ্ড মারধর করে। এতে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরে তারা মরদেহ মেঘের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে  সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে ফেলে দেয়।

যাযাদি/ এস