তাবলীগ জামাতে ছদ্দবেশে খুনের মামলার আসামি 

প্রকাশ | ২০ মে ২০২৩, ০৯:০৬

বিমানবন্দন/দক্ষিনখান প্রতিনিধি

র্ধর্ষন, অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মোঃ তারেক ওরফে তারেক আহাম্মেদ, মোহাম্মদ হৃদয় আলী, আশরাফুল ইসলাম, রাসেল সরদার ও তৌহিদুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার ও অপহৃত ব্যক্তির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগ।

গত ১৭ মে  ২০২৩ ইং বুধবার দক্ষিনখান থানার পুলিশের একটি চৌকষ টিম তাবলীগ জামাতের ছদ্দবেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নোয়াখালীর দুর্গম হাতিয়া দ্বীপে স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে অপহরণ চক্রের মূলহোতা তারেক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে। আসামি তারেক তাবলীগ জামাতের ছদ্মবেশ ধারণ করে হাতিয়া দ্বীপ এর একটি মসজিদে আত্মগোপন করে । এর আগে আশরাফুল ইসলাম, রাসেল সরদার ও তৌহিদুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে।এই মামলায় মোট ৫ আসামিকে গ্রেফতার করলো দক্ষিণ খান থানা পুলিশ ।

এদিকে গত ১৮ মে ২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে  ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, পিপিএম বলেন , গ্রেফতারকৃতরা মুক্তিপণ না পেয়ে এবং পুলিশের কাছে ধরা পরার ভয়ে অপহৃত আমিরকে হত্যা করে।

ডিসি উত্তরা মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে জানান , ভিকটিম আমির হোসেন নোয়াখালী থেকে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর দক্ষিণখানে তার বোনের বাসায় বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার দক্ষিণখান থানায় ২৮ ডিসেম্বর একটি জিডি হয়। গত ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানায় একটি অপরহণ মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে  আসামি আশরাফুল ইসলাম, রাসেল সরদার ও তৌহিদুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে । তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৭ মে  ২০২৩ ইং বুধবার দক্ষিনখান থানার পুলিশের একটি চৌকষ টিম তাবলীগ জামাতের ছদ্দবেশে স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে নোয়াখালীর দুর্গম হাতিয়া দ্বীপে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের মূলহোতা তারেক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করে। পরে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকার একটি বাড়ির পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে ভিকটিমের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দী গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ডিসি উত্তরা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ চক্রের মূল হোতা তারেক জানায়, সে একজন সমকামি। ফেসবুকে তার একটি আইডি আছে। সে বিভিন্ন সময় মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ব্যক্তিকে সমকামিতার প্রস্তাব দিয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতো। এক পর্যায়ে দেখা করার জন্য এলে কৌশলে তাদের গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় তাদের মেসে নিয়ে যেতো এবং মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিতো। এটাই ছিল তার পেশা। একইভাবে গ্রেফতারকৃত তারেক ভিকটিম আমিরকেও ডেকে নিয়ে যায়। আমিরকে আটকে রেখে তার বোনের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। প্রত্যাশিত মুক্তিপণ না পেয়ে এবং পুলিশের কাছে ধরা পরার ভয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ সেফটিক টাংকিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা অন্যকোন অপরাধের সাথে জড়িত কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

যাযাদি/ এস