স্বস্তি মিলেছে কাঁচাবাজারে, ভোগান্তি চালে

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:২৮

যাযাদি ডেস্ক

 

 

বাজারে শীতের সবজি যথেষ্ট পরিমাণ থাকার ফলে স্বস্তি মিলেছে কাঁচাবাজারে। তবে বেড়েছে চালের দাম।

 

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত।

 

গত এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রশিদ ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দাম কয়েক দফায় বস্তায় প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা কামরুল ইসলাম। 

 

তিনি জানান, সরু চালের দাম খুচরায় ৫০ কেজির বস্তায় সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা অর্থাৎ কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পুরোনো স্বর্ণা, পাইজাম ও বিআর আটাশ চালের দামও কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে।

 

এই ব্যবসায়ী জানান, কয়েকদিন আগেও যেখানে মিনিকেট চাল বিক্রি করেছি ৫৮ টাকায়, ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে এখন সেই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়। এছাড়া আটাশ চাল ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৫৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

 

বাজারের অন্য ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চালের দাম কখনও এতটা বাড়েনি। রশিদের মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা এখন বাজারভেদে ৩২০০ থেকে ৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ডলফিন, সাহারা, সালাম ব্র্যান্ডের বস্তার দাম ৩২০০ টাকা। পাইজাম এখন ২৫৫০ টাকা, গুটি স্বর্ণা ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নতুন ধানের বিআর আটাশ চালের দাম ২৬০০ টাকা। সাধারণত পাইজামের দাম আটাশ চালের চেয়ে ১৫০ টাকা কম থাকে।

 

চালের দাম বাড়ছে কেন জানতে চাইলে আরেক ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ বলেন, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরনো ধানের মিনিকেটসহ অন্যান্য চালের দাম বেড়েছে। তবে আমন মৌসুমের নতুন ধান থেকে আসা মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে। মূল বিষয়টি হচ্ছে গত মৌসুমের চালের দাম বেড়েছে।

 

এদিকে বস্তাপ্রতি চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ে বেশ বড় আঙ্গিকে। 

 

খুচরায় দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে চাল ব্যবসায়ী কাইয়ুম আহমেদ বলেন, পাইকারি বাজার থেকে খুচরায় দামের পার্থক্য হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ১০ টাকা। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক সময় তা হেরফের হয়। বাংলা নিউজ

 

যাযাদি/ এমএস