তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পাট নিতে চায়

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:০৯

যাযাদি ডেস্ক

এবার বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের গুণগতমান উন্নত হওয়ায় তুরস্কের উদ্যোক্তারা আমদানিতে আগ্রহী বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরষ্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান।

 

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা জানান।

 

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট তুর্কি কার্পেট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল। এ পাটের গুণগতমান উন্নত হওয়ায় তুরস্কের উদ্যোক্তারা আরো বেশি পাট আমদানিতে আগ্রহী।

 

তুর্কি রাষ্ট্রদূত, ২০২০ সালে তুরস্ক প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাট বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে যা দুদেশের মোট রপ্তানির প্রায় অর্ধেক। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন- বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি খাতের যন্ত্রপাতি, তথ্য-প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, জ্বালানি ও ফার্মাসিউটিক্যাল খুবই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। যেখানে তুরস্কের উদ্যোক্তারা আরো বেশি বিনিয়োগ করতে পারে।

 

তিনি দুদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ব্রান্ডিং কার্যক্রম বাড়ানো ও চেম্বারগুলোর সম্পর্ক আরো সুদৃঢ়করার ওপর জোর দেন।

 

এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮৬.৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সামনের দিনগুলোতে তা বাড়ানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

 

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়নে দুদেশের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে বাণিজ্য বিষয়ক সংলাপ আয়োজনের উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি করোনা মহামারি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে সুতা রপ্তানিতে তুরস্ক আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনায় আনার আহ্বান জানান তিনি। 

 

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন ও তুরস্কের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালায়চি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

যাযাদি/ এস