বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

​২৫ বছরে সর্বনিম্নে ভারতের স্বর্ণের চাহিদা

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৩২

করোনাভাইরাস মহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় অন্যতম ভারত। বর্তমানে সংক্রমণ ও মৃত্যুর বিবেচনায় দেশটি বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। সংক্রমণ এড়াতে টানা লকডাউনে ধস নেমেছে ভারতের অর্থনীতিতে। সব মিলিয়ে খুব একটা ভালো সময় পার করছে না দেশটি।

এদিকে করোনার প্রভাব পড়েছে ভারতের স্বর্ণের চাহিদায়। লকডাউন উঠে গেলেও মহামারীকালে আয় কমেছে ভারতীয়দের। ফলে মূল্যবান এ হলুদ ধাতুর বেচা-কেনা কম দেশটিতে। ১৯৯৫ সালের পর ২০২০ এ চাহিদার দিকে থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে ভারত। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) ভারত অফিস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

ডব্লিউজিসি বলেছে, সদ্য সমাপ্ত বছরে ২০২০ সালে ভারতে স্বর্ণের চাহিদা ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪৪৬ দশমিক ৪ টনে পৌঁছেছে। চাহিদার বিবেচনায় যা ২৫ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৯৯৫ সালের পর সবচেয়ে কম।

এদিকে ডব্লিউজিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারত) সোমাসুন্দ্রম পিআর বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়া এবং স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টা ফিরে আসার সঙ্গে ডিসেম্বর মাসে আগের বছরে একই সময়ের তুলনায় দেশটিতে আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। মূলত বন্ধ থাকা চাহিদা নতুন করে প্রকাশ পাওয়ায় এ বৃদ্ধি দেখা গেছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি চলতি বছরও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনার বছর ঘরোয়া বাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড স্তরে হ্রাস পেয়েছে। ফলে মূল্যের হিসাবে ২০২০ সালে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে ১ দশমিক ৮৮ লাখ কোটি রুপি। তবে বছরের শেষ প্রান্তিকে গিয়ে চাহিদা বাড়তে থাকে এবং বাজারও ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ডব্লিউজিসির পরিসংখ্যান অনুসারে, ডিসেম্বরে আগের বছরের একই সময় তুলনায় চাহিদা ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে বলা যায়, দেশটির চতুর্থ প্রান্তিকে সোনার চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। এ বছর ভারত স্বর্ণ খাতে আরও ২৬ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করছে।

উৎসবের মৌসুমে এবং আসন্ন বিবাহের মৌসুম নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। বিশেষত সামনের অক্টোবর-ডিসেম্বরে গিয়ে হয়তো ভালো অবস্থা দেখা যেতে পারে। যাকে স্বর্ণের জন্য বছরের ভালো সময় বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া বিনিয়োগ চাহিদাও উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীলতা দেখিয়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে