চালের আমদানি বাড়লেও কমছে না দাম

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৪৪

যাযাদি ডেস্ক

কয়েক দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

 

এদিকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও দাম কমছে না।

 

দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত ধান ও চালের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ করেছিল সরকার। এতে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তাতে চালের মূল্য বেড়ে লাগামহীন হয়ে পড়ে। কিন্তু করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন আমদানিকারককে সাত লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানি শুল্কও ৬২ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। ফলে দেড় বছর পর গত ৯ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়, দামও কমতে শুরু করে।

 

যদিও সম্প্রতি নানা অজুহাতে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে স্বর্ণা চাল পাইকারিতে ৪০ থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, আটাশ চাল ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৭ ও শম্পা ৫৪ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে; খুচরায় যা আরো ১-২ টাকা বাড়তি দাম বেক্রি হচ্ছে।

 

হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা ভ্যানচালক সাইফুল ইসলাম জানান, আশা করছিলাম ভারত থেকে চাল আমদানি হওয়ার পর দাম কমে আসবে। আমরা গরিব মানুষ কম দামে চাল কিনতে পারব। কিন্তু বন্দর দিয়ে আমদানি হলেও চালের দাম কমবে কি, আরো বাড়ছে। আমরা খুব কষ্টেই আছি।

 

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে আগে ৩০-৩৫ ট্রাক চাল আমদানি হলেও সরকারের নির্দেশনা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে এখন তা বেড়ে ৪৫-৫০ ট্রাক হচ্ছে। বন্দর দিয়ে গত ৯ জানুয়ারি শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৫৪টি ট্রাকে ১৪ হাজার ৫০০ টনের মতো চাল এসেছে। বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চাল খালাসের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দর থেকে চাল খালাস করে যেন দ্রুত দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে।

 

যাযাদি/ এস