ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে
প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১৮:০২ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১৮:০৭
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালুর কথা বলা হয়েছে। এ খবরে ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে। টাকা উত্তোলনের জন্য আসা গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
রোববার (৪ মার্চ) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের ব্যাপক ভিড়। ব্যাংকাররা বলছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের লেনদেন প্রায় দ্বিগুণ। তবে টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলনের পরিমাণ বেশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুল ওয়াহাব জানান, আজকে অন্যান্য দিনের তুলনায় গ্রাহকের উপস্থিতি বেশি, লেনদেনও বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক দিনের চেয়ে আজকে প্রায় দ্বিগুণ লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গ্রাহক টাকা উত্তোলন বেশি করেছে। স্বাভাবিক দিনে আমাদের স্থানীয় শাখায় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার মতো উত্তোলন হয়। কিন্তু আজকের দ্বিগুণেরও বেশি টাকা উঠিয়েছেন গ্রাহক।
স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে গ্রাহক সেবা দিচ্ছে জানিয়ে সরকারি ব্যাংকের এ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা ও স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করছি। মাস্ক ছাড়া কাউকে শাখায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনেও কার্যক্রম জোরদার করেছে সোনালী ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংকে আসা রাকিব আহমেদ নামে এক গ্রাহক জানান, আগামী একসপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি কী হয় বোঝা মুশকিল। তাই প্রয়োজনীয় টাকা উঠিয়ে রাখছি। পাশাপাশি একটা ডিপোজিট ছিল ওইটার টাকা জমা দিলাম।
বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন বলেন, আজ গ্রাহকের অনেক চাপ। সকাল থেকেই কর্মকর্তারা তাদেরকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। গ্রাহক টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলন বেশি করছেন। এ কারণে চাপ বেড়েছে।
যাযাদি/এসআই