শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশজুড়ে মাছ মাংস বিক্রি শুরু ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫৬

দেশজুড়ে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে। করোনা পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও খামারিদের পণ্য বিক্রির সুবিধার্থে এ উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ) শাহ্ মো. ইমদাদুল হক।

তিনি জানান, রাজধানীর সচিবালয় গেট, খামারবাড়ি, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর ও ধানমন্ডি এলাকায় এসব পণ্য বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিন রাজধানীতে প্রায় ১ হাজার ২০০ লিটার দুধ বিক্রি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে খামারিদের পণ্য বিক্রি করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বাজারেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া সামনে রোজা। সাধারণ ক্রেতা ও খামারিদের কথা চিন্তা করে গতকাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ জেলা ও উপজেলার প্রধান স্থানগুলোয় ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র অথবা রাস্তার মোড়ে মৎস্য ও প্রাণিজ পণ্যগুলো বিক্রি করা হবে। ফলে খামারিরা তাদের পণ্য ন্যায্যমূল্যে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। অপরদিকে ক্রেতারাও ভালোমানের পণ্য হাতের নাগালে পাবেন।

শাহ্ মো. ইমদাদুল হক বলেন, এরই মধ্যে ট্রাক ভাড়া করা হয়েছে। মাছচাষি, পোলট্রি ও ডেইরি খামারিদের পণ্য কাল থেকে পুরোদমে দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ প্রক্রিয়ায় পণ্য বিক্রি চালু রাখতে চাই। তবে আপাতত রমজান মাস পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি চালুর রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি জানান, শীত শেষে খামারিরা খামারে মুরগির বাচ্চা তুলেছেন। আর কিছুদিন পরে সেগুলো বাজারে বিক্রি হবে। কিন্তু যাতায়াতসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দুধ ও মাংসের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। সবমিলে ভোক্তা ও খামারিদের কথা চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খামারিদের টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এখন পর্যন্ত পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। বাজার অনুযায়ী পণ্যের দাম নির্ধারিত হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়লে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিছুদিন চলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পুনরায় সরকারি উদ্যোগে পণ্য বিক্রি শুরু হয়।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে