শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ মে ২০২১, ১৬:১৮

ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে তিন টাকা ছাড় দিয়ে বিক্রি করবে পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো। সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছে মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পবিত্র রমজান ও করোনা মহামারির এই সময়ে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত প্রতি লিটারে তিন টাকা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বাড়লে বা কমলে তখন তাৎক্ষণিকভাবে সমন্বয় করার কথা বলেছে সংগঠনটি।

নতুন করে মূল্য ছাড় দেওয়ার ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৪১ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১১৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১০ টাকায় কিনতে পারবেন ভোক্তারা। বর্তমানে বাজারে বর্ধিত মূল্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৪৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সুপার পাম তেলের লিটার ১১৩ টাকা। গত ১৯ এপ্রিল মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে নতুন বর্ধিত দর জানিয়েছিল।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৫ মার্চ ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন দেয়। তখন এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা; যা এর আগে ১৩৫ টাকা ছিল।

অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিতভাবে দেশীয় পর্যায়ে ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, আমদানি পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অতি মাত্রায় মূল্য বৃদ্ধিতে অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের দাম গড়ে পাঁচ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এই ৫ টাকা দাম বৃদ্ধির বিষয়টি গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায় সংগঠনটি। ইতোমধ্যে নতুন দরের তেল বাজারে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।

অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের বাজার মূল্য মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি। দেশের বাজারের ভোজ্যতেলের চাহিদার ৯৫ ভাগের বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে স্থানীয় বাজারে সে পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি।

এদিকে দাম সহনীয় রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ১১ এপ্রিল ভোজ্যতেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করে। যদিও কোম্পানিগুলো দাবি করছে, এতে ভোজ্যতেলের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। কারণ সরকার আগে ভ্যাট অগ্রিম আদায় করত। এখন বিক্রির পরে আদায় করবে। এতে কোম্পানিতে শুধু নগদ টাকার প্রবাহে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু ভ্যাট দিতেই হবে।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে