কারখানা বন্ধ থাকায় অর্থ বছরের শুরুতেই কমেছে রফতানি আয়

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২১, ২১:০৭

যাযাদি ডেস্ক

দেশে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির মধ্যেই শেষ হয়েছে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাই। গত অর্থ বছরের জুলাই মাসের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ রপ্তানি কমেছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এই আয় প্রায় সাত শতাংশ কম।

 

আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সদ্য জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৪৭ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭২ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৩৪৭ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে, পোশাক রফতানি থেকে আয় ২৮৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১১ দশমিক দুই শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার দশমিক ১৭ শতাংশ কম।

 

পোশাক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জুলাই মাসের প্রায় অর্ধেক সময় গার্মেন্টস বন্ধ থাকার কারণেই দেশের রফতানি আয় কমেছে। এদিকে, জুলাই মাসের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৭২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার।

 

আগের বছরে একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৯১ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবেই প্রবৃদ্ধি কমেছে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ছয় দশমিক ৮৫ শতাংশ। রফতানিকারকরা বলছেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ এবং ঈদুল আজহার কারণে টানা ১২ দিন বন্ধ ছিল রফতানিমুখী শিল্প কারখানা। তাই কমে গেছে রফতানি আয়।

 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমে বলেন, ‘জুলাইয়ে ১৮ তারিখ পর্যন্ত রফতানি আয় খুবই ভালো ছিল। তারপর গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে হয়েছে। রফতানি কমার একমাত্র কারণ গার্মেন্টস বন্ধ থাকা।’

 

তিনি বলেন, ‘অন্য সময় তো নানা কারণে রফতানি কমে। এবার কমেছে শুধুমাত্র গার্মেন্টস বন্ধ থাকার কারণে। অর্ডার আছে, কিন্তু কাজ করা যায়নি।’

 

একই রকম মন্তব্য করেছেন নিটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. হাতেম। তিনি বলেন, ‘জুলাই মাসে ১২ দিন কারখানা বন্ধ ছিল। ১৯ দিনে ২৮৮ কোটি ডলারের যে আয় হয়েছে তা খুবই ভালো। বন্ধ থাকার কারণে উৎপাদন করা যায়নি।’

 

যাযাদি/এসএইচ