শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়ছে প্রতারণা

সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকে বেশ কিছু সন্দেহজনক লেনদেন হলেও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে আসেনি
সাখাওয়াত হোসেন
  ০৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ০৯:২০

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়ছে নানা প্রতারণার ঘটনা। এ অপতৎপরতা ঠেকাতে কাগজে কলমে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তবে তা তেমন কাজে আসছে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট যাতে তৈরি না হয়, এজন্য এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘুষ-দুর্নীতি, জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন, মানব পাচার, চোরাচালান, মুদ্রা জাল ও প্রতারণাসহ যে কোনো অপরাধের মাধ্যমে অর্থ আয়, অর্থ পাচার ও বেআইনি কোনো লেনদেনকে সাধারণভাবে মানি লন্ডারিংয়ের আওতায় ধরা হয়। এসব ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন হলে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফইইউ) রিপোর্ট করে। যাকে সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) বলা হয়। এসব প্রতিবেদন ধরে তদন্ত করে বিএফইইউ। এরপর ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সংস্থায় পাঠায়। অথচ সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকে বেশ কিছু সন্দেহজনক লেনদেন হলেও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে আসেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এসব অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়ে বিএফইইউকে অবহিত করা হয়নি। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ একাধিক প্রতারক চক্র নিম্ন আয়ের মানুষদের দিয়ে ডজনে ডজন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা নির্বিঘ্নে হাতিয়ে নিয়ে গেছে। প্রতারক চক্রের হাতে সর্বস্ব খুইয়ে অনেকের আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আর্থিক গোয়েন্দারা জানান, শুধু বেসরকারি ব্যাংকই নয়, বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমেও এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। অথচ এসব অস্বাভাবিক লেনদেন সামান্য নজরদারি করা হলেই এ প্রতারক চক্রকে প্রতিহত করা যেত। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'কারও পেশার সঙ্গে যদি লেনদেনের হিসাব সঙ্গতিপূর্ণ না হয়, তাহলে সেই ব্যাংকই ওই হিসাবের খোঁজ নেবে। এটা যদি তারা না করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে নোটিশ এলে ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই ২২টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৩ জনের নামে ১৮টি অ্যাকাউন্ট খুলে ৯ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। অথচ এসব অ্যাকাউন্ট গ্রাহকরা সবাই অতিশয় নিম্ন আয়ের মানুষ। যাদের অ্যাকাউন্টে লাখ টাকা জমা হওয়ারও কথা নয়। অথচ গত কয়েক মাস ধরে এসব অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হলেও তা কেউ নজরে নেয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দাদের গাফিলতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের গ্রাহকের পেশার সঙ্গে যদি লেনদেনের হিসাব সঙ্গতিপূর্ণ না হয় তাহলে এই হিসাবের খোঁজ নেওয়ার দায়িত্ব সেই ব্যাংকেরই। তাদের কাছে লেনদেন অস্বাভাবিক বা সন্দেহজনক মনে হলে তারা বিএফইইউকে অবহিত করবে। পরবর্তীতে তারা তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। অথচ গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি এসব প্রতারণার ঘটনা উদ্ঘাটনের আগ পর্যন্ত ওইসব ব্যাংক তা ধরতেই পারেনি। অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলের এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকেই নিতে হবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এক নারীসহ ৩ জন গ্রেপ্তার হওয়ার পর ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসন্ধান করে প্রতারক চক্রের আরও শতাধিক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতারণার টাকা লেনদেনে ওই অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, কয়েকটি প্রতারণার ঘটনার তদন্তে নেমে ৪০টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্তত ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একজনের নামে ২২টি, একজনের নামে ৯টি, আরেকজনের নামে ৫টি ও এক নারীর নামে ৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া যায়। এসব অ্যাকাউন্টে গত কয়েক মাসে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়। যা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান আরও জানান, এ ধরনের আরও বিপুলসংখ্যক অ্যাকাউন্টের তথ্য তারা পেয়েছেন। ওইসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও প্রতারণা করা হয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এদিকে এ প্রতারক চক্রের সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে কি না তা নিয়েও গোয়েন্দাদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তদন্তে সংশ্লিষ্টরা জানান, একজন নিম্ন আয়ের গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ২১ দিনে ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা সহজেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের নজরে আসার কথা। অথচ এ বিষয়টি তারা এড়িয়ে গেছে। যা রীতিমতো সন্দেহজনক। জানা গেছে, প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি ডিম বিক্রেতা সজীব আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অটো রিকশাচালক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন ও গৃহিণী মর্জিনা আক্তার রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়েন্দারা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পর্যালোচনা করে দেখেন, সজীবের নামে ২২টি, মর্জিনার নামে ৪টি, শরিফের নামে ৯টি ও পলাতক শহিদুল ইসলামের নামে ৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টের মধ্যে গত এক বছরে সজীবের অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ২০ লাখ, শরিফের অ্যাকাউন্টে ২৩ লাখ টাকা, মর্জিনার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি টাকা ও পলাতক শহিদুলের অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সজীবের ২২টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার ৭০১৭৪১৯৩৮৭১৪২ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, একই শাখার ৭০১৭৫১৬০৪০১৩০ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা, একই শাখার ৭০১৭১০০৩০১০৫৩ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ৭ মাসে ২৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, সোনালী ব্যাংকের হেড অফিসের ৪৪২৯৭০১০১০১৯২ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ মাসে ৩৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ১১৪৩০৩০৬৬৩০০১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে গত এক বছরে ২৬ লাখ ৪০ হাজার, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখার ১৭১১৫৭০০০৬৮১৩ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ মাসে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার, সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ১৪৫৩১০৭৪৩৩০০১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ১২ মাসে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাভার শাখার ৪০৫৮১২১০০০০১২৭৯ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে এক বছরে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার, সাভারের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ০৯১২১০১০০০০০৬৮৪৩ নম্বর থেকে এক বছরে ১০ লাখ ২৭ হাজার, একই ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ০০৩২১১৩০০০০০৩৫৪১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লাখ ৬৭ হাজার, ব্র্যাক ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখার ৮৮৮৮১০৪৭১৮৩৭৭০০১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার ১৩৯১৫২০০০৪৫৯০ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা, দারুস সালামের ইস্টার্ন ব্যাংকের ১১৮১০৭০২৩৪৪৩১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসিলা রোডের ১৫৭১৩৪০০০৫৪০২ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের আটি বাজার শাখার ০১৭৫১২০০০০৮৩১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ১০৯১০১০০২৪৮৬২ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের আটি বাজার শাখার ০০৮০১২১০০০০৪০১৬ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের ০১৮০০৬১৬৯৫৮১১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, সিটি ব্যাংকের ১২৩৩১১৯৩৩১০০১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৩৯ টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৭৭৭৩২০১০০০২৫৪৫৪০ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শরিফ হোসেনের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ৭০১৭৩১৭৫৮৯৬৯০ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ৮৮৮৮১০৪৮৭৩৭০৮০০১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ ১১ হাজার টাকা, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকের ০১৭১২১০০৫৮৩৩ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১৩৮৩২০১০০০০০১৮৮১৫ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ টাকা লেনদেন করা হয়েছে। গৃহিণী মর্জিনা আক্তার রনির ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ২৫৮১৫২০০০২৩৫৩ ও ৭০১৭৪১৮৮৬০২৭৩ নম্বর অ্যাকাউন্ট, সাউথইস্ট ব্যাংকের ০০৮০১৪৬০০০০০১১৩ নম্বর অ্যাকাউন্ট এবং পূবালী ব্যাংকের ৩৯২৯১০১০৫৫৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে অন্তত ২ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া পলাতক রংমিস্ত্রি শহিদুল ইলামের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ৭০১৭৪১২৬৯৮১০৩ অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৩৭ লাখ, একই ব্যাংকের ৭০১৭৪১২৮১৪৬৭৭ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা, ইসলামী ব্যাংকের ২০৫০৭৭৭০২৪০১১৩৩০২ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি তিন লাখ টাকা, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার ১৬৪১৫১০৫৪৯৮৩৮ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ লাখ টাকা এবং সিটি ব্যাংকের ২২০২৮১৮৭১২০০১ নম্বর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখ টাকাসহ আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার খলিলুর রহমান বলেন, প্রতারক চক্রের মূলহোতা পলাতক শহীদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই চক্রের সদস্যরা নিম্ন আয়ের মানুষদের দলে টেনে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলিয়ে প্রতারণার অর্থ তুলে নিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে