ডাচেস অফ ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন এর পরিধানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১৭:১৩

যাযাদি ডেস্ক

 

 

ডাচেস অব ক্যামব্রিজ, কেট মিডলটনকে সম্প্রতি বাংলাদেশী পোশাক কারখানা, এমবিএম কর্তৃক প্রস্তুত করাজি-স্টার প্যান্ট পরিধান করতে দেখা গেছে।

 

বিজিএমইএ গর্বিত যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এখন ফ্যাশন জগতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।

 

পোশাক শিল্পের অন্যতম পথিকৃত এমবিএম গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম মাহমুদুর রহমান। বর্তমানে গ্রুপটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিম রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিতহচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ‘মেইড ইন বাংলাদেশ পোশাকের জন্য ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্বের ১৬০টিরও অধিক দেশের কোটি কোটি মানুষের বিশ্বস্ততা অর্জনের পাশাপাশিএকটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।

বছরের পর বছর কঠোরপরিশ্রম, নিষ্ঠা, শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের প্রতিশ্রুতি এবং শ্রেষ্ঠত্বেরজন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশে পরিনত করেছে।

 

গুনগত মান বজায় রেখে যত্নের সাথে তৈরি করা বাংলাদেশের পোশাক সমগ্র বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।

 

মেইড ইন বাংলাদেশ ট্যাগটি বিশ্বমানের সমার্থক হয়ে উঠেছে, যা কোন সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করা যায়।

 

এই বিশ্বস্ততা শিল্পের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক কমপ্লায়েন্স প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্প যে অসাধারণ অগ্রগতি সাধন করে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে, তার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রেও দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগ্রতি অর্জন করেছে, দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক গ্রীন পোশাক কারখানার আবাসস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

 

নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন ক্ষেত্রে অগ্রগ্রতির পাশাপাশি শিল্পটি বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পণ্য বৈচিত্র্য করণ এবং সক্ষমতাগড়ে তোলার দিকেও ক্রমবর্ধমানভাবে মনোযোগ বাড়াচ্ছে।

 

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “আমরা আমাদের পোশাকশিল্প নিয়ে গর্বিত। এই শিল্পটি শুধুমাত্র যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রূপান্তরে গভীর অবদান রাখছে - লাখো লাখো মানুষকে দারিদ্রের অতল গহবর থেকে বের করে আনছে - নারীর ক্ষমতায়ন করছে, নারী শিক্ষার পথ প্রশস্ত করছে, তা নয়, বরং বিশ্বের একটি মর্যাদা পূর্ন ব্র্যান্ড তৈরি করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে।

 

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি নিরাপদ, নৈতিক এবং টেকসই সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর পছন্দসই থাকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

 

যাযাদি/এসআই