শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনকে ‘ভারতের ওপর আক্রমণ’ বলছেন আদানি

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৪
এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি

এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির কোম্পানিকে নিয়ে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের জবাব দিয়েছে আদানি গ্রুপ। রোববার ৪ শতাধিক পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ায় আদানি গ্রুপ বলেছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন ‘হিসেব-নিকেশ করে ভারতের ওপর আক্রমণ।’

তবে একই দিন হিন্ডেনবার্গ বলেছে, তারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় ওই কোম্পানিকে নিয়ে ৮৮টি প্রশ্ন তুলেছে; যার মধ্যে ৬২টির জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে আদানি।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) তাদের প্রতিবেদনে ভারতের বহুজাতিক কোম্পানি আদানির বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘কর্পোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজির’ অভিযোগ করে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সোমবার পর্যন্ত আদানি গ্রুপের সম্পদের মূল্য ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার কমে গেছে। ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে নজিরবিহীন টালমাটাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ায় বিশ্বের শীর্ষ তৃতীয় ধনীর তকমা হারিয়ে ৯ম স্থানে নেমে গেছেন আদানি।

আদানি গ্রুপ বলেছে, তারা স্থানীয় সব ধরনের আইন মেনে চলে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও তারা প্রকাশ করে।

রোববার শেষ রাতের দিকে প্রকাশিত আদানি গ্রুপের ৪১৩ পৃষ্ঠার প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ভারতীয় আইন ও বিধি-বিধান মেনে আমাদের সব প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের তথ্য যথাযথভাবে প্রকাশ করা হয়। সঠিক কোনও প্রমাণ বা নথিপত্র ছাড়াই হিন্ডেনবার্গ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে আদানি গ্রুপ।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ কোম্পানির শর্ট-সেলিংয়ের ব্যাপারে বিশেষত্ব রয়েছে। এই পদ্ধতিতে কোনও কোম্পানির শেয়ারের মূল্য পড়ে গেলে সুবিধা অর্জনের জন্য ওই শেয়ারের ব্যাপারে আর্থিক অবস্থান নিয়ে থাকে।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে মরিশাস এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মতো বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে বিভিন্ন কোম্পানিতে আদানি গ্রুপের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ঋণ’ রয়েছে; যা পুরো গ্রুপটির আর্থিক ভিত্তিকে নড়বড়ে করে তুলেছে। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, ভারতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মূল্য নিজেদের পক্ষে নির্ধারণ করার জন্য এসব অফশোর কোম্পানিকে ব্যবহার করা হয়েছে।

আদানি গ্রুপের অভিযোগের জবাবে হিন্ডেনবার্গ বলেছে, এটা পরিষ্কার, আমরা ভারতকে প্রাণবন্ত্র গণতন্ত্র আর চমৎকার ভবিষ্যতের উদীয়মান পরাশক্তি হিসাবে মনে করি। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে ভারতের ভবিষ্যৎ আদানি গ্রুপের কাছে আটকে আছে; আর জাতিকে পরিকল্পিতভাবে লুণ্ঠন করতে গিয়ে নিজেকে ভারতীয় পতাকায় ঢেকে দিয়েছে আদানি গ্রুপ। সূত্র: বিবিসি, ব্লুমবার্গ।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে