তরুণদের হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে দেশি পাঞ্জাবি

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

যাযাদি ডেস্ক
ছবি সংগৃহীত

প্রচণ্ড গরম আর মানুষের ভিড় যেন ম্লান ঈদের আনন্দ ভাগাগিতে। মধ্য রাতে দলে তরুণরা মার্কেটে প্রবেশ করছে আর নিজের পছন্দের কেনাকাটা করছে। অধিকাংশ তরুেণের হাতে শোভা পাচ্ছে পাঞ্জাবি। ঈদে সবার প্রথম পাঞ্জাবি। কথোপকনে এক তরুণ বলে মামা পাঞ্জাবি ছাড়া কি ঈদ জমে। অন্যরা উত্তরে বলল না মামা পাঞ্জাবি লাগবই। পাঞ্জাবি ছাড়া ঈদ কেমন করুম। নতুন পাঞ্জাবি পড়ে ঈদের নামাজে যাবো এটাই আনন্দ। আর অবশ্যই দেশী পাঞ্জাবি। বিদেশী পণ্য আর না।

রাত পোহালেই ঈদ উৎসবে মেতে উঠবে পুরো দেশ। তাই শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। মধ্যরাতেও জমজমাট ছিলো নিউমার্কেটের নিউ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাদনী চক।

রাত ১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটের অলি-গলিতে মানুষ আর মানুষ। তারা দেখছেন, দরদাম করে কিনছেন। সবার হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে নতুন পোশাকের শপিং ব্যাগ। ক্রেতাদের অধিকাংশই তরুণ। নেহায়েত কম নয় নারীদের সংখ্যাও। এদের কেউ কিনেছেন প্যান্ট, কেউ শার্ট, টিশার্ট। তবে অধিকাংশ তরুণের হাতে শোভা পায় পাঞ্জাবী। নতুন পোশাক নিয়ে তাদের ছুটতে দেখা যায়, কাটিং-ফিটিং মাস্টারের কাছে। কাটিং-ফিটিং মাস্টারদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম, তবুও চলছে কর্মযজ্ঞ। কারোরই দম ফেলার ফুসরত নেই। তবে প্রচন্ড গরমে সবাই চোখে মুখে দেখা গেছে বিরক্তির ছাপ।


আশে পাশের ফুটপাতে দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। রিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার আর মানুষের ভীড়ে রাত ২ টে পর্যন্ত দেখা যায় যানজট। ক্রেতাদের বেশিরভাগই প্যান্টের দোকানে ভীড় করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশে গতকাল মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখে চাঁদের হাসি। অনেক ব্যবসায়ী বলছেন। বিক্রির জন্য আরও একদিন সময় পাওয়া গেলো। যারা এখনো কিনতে পারেননি তারা আজ রাতে কেনাকাটা করবেন।


যাত্রাবাড়ি থেকে বন্ধুদের সাথে কেনাকাটা করতে আসা আরাফাত রহমান নামে এক তরুণ জানান, অন্যান্য জায়গার তুলনায় নিউমার্কেটে জিনস প্যান্টের দাম মোটামুটি কম। এজন্য কয়েকজন মিলে কিনতে এসেছি। আর রাতে ভীড় কম হবে ভেবে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি লোকেলোকারণ্য। যাক তারপরও কিনতে পেরেছি। অন্যরাও দেখছে, কিনবে।

পুরান ঢাকা থেকে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, আমরা পুরান ঢাকার মানুষ চান রাতের অপেক্ষায় থাকি। কি হয় না এজন্য কিনতে চলে এসেছি। দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছি। কিনে ফেলবো।


মার্কেটের এক প্যান্ট দোকানী বলেন, ২৯ রমজানকেই আমরা চাঁদ রাত ধরে পসরা সাজিয়েছি। সব ব্যবসায়ীদের টার্গেট থাকে বিক্রি শেষ করার। কিন্তু এবার ৩০ রোজা হওয়ায়, আমরা একদিন বাড়তি বিক্রির সুযোগ পাচ্ছি। আশা করছি, বিক্রি বাড়বে। লোকজন কিনতে আসবে।

এদিকে ফুটপাতে বসেছে বিভিন্ন রকমের অনেক খাবারের দোকান। এসব দোকানের বেচাবিক্রিও বেশ ভালো বলে জানান দোকানীরা।

যাযাদি/ এস