২০ শতাংশ শুল্ক আর ৪০৫ ডলারে ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভারতের সার্ভারের জটিলতার কারণে গত দুই দিন বন্ধ ছিল এই বন্দর পেঁয়াজ আমদানি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতীয় ৪ টি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। এসব পেঁয়াজ আমদানি করছেন মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স।
হিলি বন্দর ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসের (১৩ সেপ্টেম্বর) পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুই দিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। আশা করছি আমদানি বাড়ার পাশাপাশি দামও কমবে।
জানা যায়, গতবছর ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেন। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে নূন্যতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টন প্রতি নূন্যতন ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। সে মোতাবেক সে দেশের রপ্তানিকারকের সাথে কথাও হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। আজ বুধবার বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০-১৫ টাকা আমদানি করচ কমেছে।
হিলি বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় ৪ টি ট্রাকে ১২৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
যাযাদি/ এম