চট্টগ্রাম বন্দরে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিদেশি কোম্পানি: আশিক চৌধুরী
প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৫, ১৯:০৬

চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনমার্কভিত্তিক শিপিং ও লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠান এপি মোলার মায়ের্স্ক (এপিএম) ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া চর পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আমি নেদারল্যান্ডসে এপিএমর যে হেডকোয়ার্টারে গিয়েছিলাম গত পরশু এবং ওনারা বিভিন্ন দেশে পোর্ট অপারেট করেন। তো আমার সঙ্গে ওনাদের যে কথা হয়েছে, সেখানে প্রাইমারি যেটা অ্যাসেসমেন্ট, সেটা হচ্ছে যে, এখানে এই পোর্টটা করতে এটা একটা অবভিয়াসলি স্টেট অফ দি আর্ট এবং গ্রিন একটা পোর্ট হবে এবং এই গ্রিন পোর্টটা করতে ওনাদের রাফলি ৮০০ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগবে। এই পুরাটাই এফডিআই হিসেবে বাংলাদেশে আসবে, এখানে কিন্তু সরকার কোন এক টাকাও দিচ্ছে না এবং পুরাটাই ওনারা বিদেশ থেকে ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে আনবে।’
‘বাংলাদেশের এফডিআই নাম্বারটা কিন্তু খুবই ছোট। আমাদের জেনুইন এফডিআই যেটাকে আমরা বলি যে ইকুইটি, ইকুইটি হিসেবে যে নাম্বারটা ঢোকে, সেই নাম্বারটা কিন্তু প্রতি বছরই আমাদের ৪০০, ৫০০, ৬০০, ৭০০ মিলিয়নের বেশি আসে না। তো এই একটা প্রজেক্টে যদি আমাদের ৮০০ মিলিয়ন ডলারের এফডিআই আসে এবং এপিএম-এর মতো একটা ভালো কোম্পানি থাকে, সেটা আমাদের দেশের ইকোনমির জন্য এবং ওভারঅল আমাদের ফাইনান্সিয়াল হেলথের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকার থেকে চেষ্টা করছি যে, আমাদের লং টার্ম ভিশন বা অ্যাম্বিশনের সঙ্গে এটা অ্যালাইনড।’
বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের লং টার্ম অ্যাম্বিশন যেটা, বাংলাদেশকে আমরা গ্লোবাল ফ্যাক্টরি বানাতে চাই। সেটার সবচেয়ে প্রাইমারি ফ্যাক্টর বা সবচেয়ে বড় ইনগ্রেডিয়েন্ট হচ্ছে পোর্ট ক্যাপাসিটি। পোর্ট ক্যাপাসিটি না থাকলে আপনি কিছু করতে পারবেন না। ওয়ার্ল্ডের যারা টপ পোর্ট অপারেটর, তাদেরকে আনার আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে আমাদের যেই, যেহেতু আমাদের ল্যান্ড লিমিটেড, আমাদের ক্যাপাসিটি লিমিটেড, সেই লিমিটেড ক্যাপাসিটিকে যাতে আমরা বেস্ট ইউটিলাইজ করতে পারি, ঠিক আছে? সো, এই এফিসিয়েন্সির কথা যে আপনি বলছেন, আমি এক্সপার্ট না। আমাকে পোর্ট চালাতে দিলে পোর্ট ফেল করবে। কিন্তু যারা এক্সপার্ট, তাদেরকে দিয়ে চালাতে দিলে এখানে প্রোডাক্টিভিটি এফিসিয়েন্সি বাড়ানো সম্ভব।’
এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এটাই হবে আসল সমুদ্র বন্দর। এখনি ১৩ মিটারের জাহাজ এসেছে পাশে। এটা যুগান্তকারী উন্নয়ন হবে। ২৫ হাজার সরাসরি কর্মসংস্থান হবে। এখানে চারটা টার্মিনাল করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইনিশিয়ালি আমাদের তিনটা এপ্রুভ হয়েছে। টার্মিনাল ওয়ান যেটা পিএসএ সিঙ্গাপুর করবে, টার্মিনাল টু যেটা ডিপি ওয়ার্ল্ড করবে এবং টার্মিনাল থ্রি আমরা ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে করব, যারা কম্পিট করে আসতে পারে। আরেকটা টার্মিনাল আমরা এনার্জি টার্মিনাল প্ল্যানে রেখেছি। আমাদের যে ক্যাপাসিটি, প্রায় ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইউএস ইজিলি করতে পারব। এটা হয়তো ৪ দশমিক ৫ এর উপরেও চলে যাবে, যদি আমরা এখানে আরো অফডক অন্যান্য ফ্যাসিলিটিসগুলো করতে পারি। গ্রাউন্ড ব্রেকিং এই বছরের শেষের দিকে হবে। ২০৩১ এর মধ্যে আমরা আশা করছি যে অপারেশনে যেতে পারব।