নির্বাচনে অংশগ্রহণে ‘বিরতি’ চায় না সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ
প্রকাশ | ১৮ জুন ২০২৫, ১৩:১৮

বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা- ২০২৫ এর এক উপবিধি বাতিল চেয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে চিঠি দিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতারা। বাণিজ্য সংগঠনে টানা দুইবার নির্বাহী কমিটি বা পর্ষদে থাকলে একবার বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করতে হবে- এমন উপবিধি বাতিল চেয়েছেন তারা।
সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পক্ষে আহ্বায়ক মীর নিজাম উদ্দিন গত রোববার (১৫ জুন) বাণিজ্য উপদেষ্টাকে এই বিধান বাতিল চেয়ে চিঠি দেন।
সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ বলছে, একজন ভোটারের মৌলিক অধিকার হচ্ছে যে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে বিরত রাখার বিধান মোটেই কাম্য নয়।
দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর গঠন, কার্যক্রম, নিবন্ধন, তদারকি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে ‘বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয় ২০ মে।
এছাড়া পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে ভর্তি ফি ও বার্ষিক চাঁদার পরিমাণ আগের মতো রাখার দাবি করেছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। এতদিন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনে এককালীন ভর্তি ফি ছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা, বার্ষিক চাঁদা ছিল এক হাজার টাকা। নতুন বিধিমালায় সাধারণ সদস্যদের ভর্তি ফি ১৫ হাজার টাকা ও বার্ষিক চাঁদা ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিষদ বলছে, অতিরিক্ত ফি ধার্য করায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ভ্যাট, ট্যাক্স আর ব্যাংকঋণের সুদহার নিয়ে এমনিতেই সাধারণ ব্যবসায়ীরা সমস্যায় জর্জরিত। এমন প্রেক্ষাপটে ফি বাড়ানোর কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা যাবে।
এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান প্রশাসকের সহায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। তারা বলেছে, সহায়ক কমিটির সঙ্গে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীদের সরাসরি যোগসাজশ রয়েছে। ফলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সহায়ক কমিটি বাতিল করা প্রয়োজন।