কাজে যোগ দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২৫, ১৬:২৩

যাযাদি রিপোর্ট
ছবি: সংগৃহীত


যৌক্তিক সংস্কার ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পর স্বাভাবিক হয়ে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রম। সোমবার সকাল থেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। কয়েকদিনের স্থবিরতার পর আবারও এনবিআরে তৈরি হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।

ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় রোববার রাতে ‘মার্চ ফর এনবিআর’ এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টার আগেই কর্মস্থলে প্রবেশ করতে শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৮টার দিকে অফিসে আসেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। রাজস্ব ভবনের সামনে আইনশৃঙ্খালা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ উপস্থিতি আছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে। যেহেতু আজ ৩০ জুন (অর্থবছরের শেষ দিন), আজকে আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে। রেভিনিউগুলো যেগুলো পাইপলাইনে আছে সেগুলো ট্রেজারিতে নিয়ে আসার একটা ক্রমাগত চেষ্টা থাকে। সেই চেষ্টাটা চলছে।


এর আগে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আর্থিক ক্ষতিসহ বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা কমপ্লিট শাটডাউন আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। রোববার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা।

রাজস্ব ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। গত দুইদিন মার্চ টু এনবিআর ও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা। গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরুদ্ধে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মসূচির ফলে সরকার গত ২৫ মে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত না করে বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা, রাজস্ব নীতি প্রণয়ণের লক্ষ্যে আলাদা একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠন করা এবং প্রয়োজনীয় সব সংশোধনের আগ পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না বলে জানায়। তার প্রেক্ষিতে ঐক্য পরিষদ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।

এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।