সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৭ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৪

যাযাদি রিপোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদে ১৭ কার্গো এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করবে সরকার। এজন্য দর প্রস্তাব ও এলএনজি ক্রয়ের চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সভায় সার কেনাসহ আরো কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জিটুজি ভিত্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেডের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদে ২০২৫ ও ২০২৬ সালে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় এলএএনজি কেনার দর প্রস্তাব এবং এলএনজি বিক্রি ও কেনা-সংক্রান্ত চুক্তির (এসপিএ) খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ওকিউ ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে চলতি বছর পাঁচ কার্গো ও ২০২৬ সালে ১২ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম জাপান কোরিয়া মার্কেট ফর্মুলার সঙ্গে ১৫ সেন্ট যোগ করে নির্ধারিত হবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি টন ইউরিয়া সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮৫ দশমিক ৫০ ডলার।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চীন ও সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে চীনের বানইয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি আমদানিতে ব্যয় হবে ৩৫৮ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭২৯ দশমিক ২৫ ডলার।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মাদেন ও বিএডিসির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩৫১ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭১৫ ডলার।

এছাড়া সভায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) জন্য পাঁচটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছয় প্রকল্পের ব্যয় নতুন করে ৩৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৭১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে ভূমি উন্নয়নসহ ১০টি ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৭৩ টাকা।