শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি প্রশাসনকে কালো পতাকা দেখালেন শিক্ষকরা

রাবি প্রতিনিধি
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অপসারণের দাবি জানিয়ে কালো পতাকা প্রদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে কালো পতাকা প্রদর্শন করেন তারা।

শিক্ষকরা কালো পতাকা প্রদর্শন করে প্রশাসনকে সরে যেতে বলছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে ভূত্বত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরণের নিয়োগ বন্ধ, রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি ও ক্ষতি করা অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত প্রদানসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১২ টি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বর্তমান প্রশাসন সকল নির্দেশনা অমান্য করে সরকারের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। আমরা এ অন্যায়, অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকারী এ প্রশাসনের অপসারণ দাবি করছি।

এছাড়াও বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষকদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক এফ এম আলি হায়দারের নেতৃত্বে মানববন্ধনে মাইক সরবরাহকারী ডেকোরেটর কর্মীদের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন।

মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এক্রাম উল্লাহ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মজিবুল হক আজাদ খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অধ্যাপক মশিহুর রহমান, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরে নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন, সব ধরণের নিয়োগ স্থগিত, রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি, উপাচার্যর দখলে থাকা বাড়ির আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় টাকা ফেরত এবং উপ–উপাচার্যসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কৈফিয়ত তলব করে ১২ টি পৃথক চিঠি প্রেরণ করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। তবে প্রায় ২ সপ্তাহ পার হলেও রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তবে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার উত্তর দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে