রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার অপসারণ চেয়ে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী ঐক্য’র ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।

সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে বেরোবিতে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মুরশিদুল আলম, ছাত্র ফেডারেশন রাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক রাকিব হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে মিলন বলেন, ‘ইউজিসির তদন্ত কমিটি সরেজমিনে দু'দফা তদন্ত করে ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্টারসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫ টি অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায়। তদন্ত কমিটি ২০ ও ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, শিক্ষামন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে দায়ী করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। তবে প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও ভিসি, প্রো-ভিসিকে অপসারণ করার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না যা আমাদেরকে আশাহত করেছে। আমরা মনে করি, অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারেনা এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। এ ব্যাপারে আমরা আচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসিসহ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে অপসারণ না করা পর্যন্ত সকল প্রকার নিয়োগ স্থগিতের আহ্বান জানান তারা। আগামী ৭ দিনের মধ্যে দাবি না মানলে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।

যাযাদি/এস