গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

করোনা পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের থেকে ন্যূনতম পরিক্ষা ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি কমিটির অর্থ উপ-কমিটি। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সভা কক্ষে অর্থ উপ-কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি অর্থ উপ-কমিটির আহবায়ক জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপ-কমিটির সদস্য এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো আনোয়ারুল ইসলাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।

 

সভায় গুছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার বাজেট সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং বাজেটে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত খাতসমূহ নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও পরবর্তী সভায় পূর্ণাঙ্গ বাজেট প্রণয়নের সিদ্ধান্তসহ করোনার সার্বিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের থেকে ন্যূনতম পরিক্ষা ফি ধার্যের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন গুছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এছাড়াও সভায় ভর্তি কমিটির অর্থ উপ-কমিটির সদস্য সচিব এবং জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী মোঃ নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

 

গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি অর্থ উপ-কমিটির আহবায়ক জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষা আমাদের জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। এ পরিক্ষায় সার্বিক খরচ কেমন হতে পারে তা আমরা সভায় আলোচনা করেছি। তারপর করোনা মহামারীর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে আমাদের ভাবনা আছে। সামনে উপাচার্যদের সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য সহনীয় পরীক্ষা ফি নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

উল্লেখ্য, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলনা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ),  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

 

যাযাদি/এস