শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চবিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

চবি প্রতিনিধি
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:২৬

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ( চবি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার ( ১০ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বুদ্ধিজীবী চত্তরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বারাবর ছয় দফা সম্মিলিত একটি স্মারকলিপি দেন।

দফাগুলো হলোঃ

১. অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা, যাতে সকল শিক্ষার্থীরা সৃষ্ট আবাসিক সংকট হতে উত্তরণ লাভ করতে পারে এবং পুনরায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

২. শিক্ষা কার্যক্রম ব্যতীত দেশের সর্বত্রই নিয়মিত ও স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্ব-শরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা।

৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস গুলো শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টসমূকে অবহিত করে পর্যায়ক্রমে ১ম, ২য়,৩য়, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৪. সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্ব-শরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা।

৫.সেশন জট নিরসনের জন্য সর্বোপরী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৬. শাটল চলাচল বন্ধ হওয়াতে বেশীরভাগ শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। তাই, উক্ত সমস্যা নিরসনে 'ফ্রী বাস সার্ভিস' চালু করা।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সবকিছু সচল আছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর কতদিন বন্ধ থাকবে? এভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিরাট সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশ ভেকসিন চলে আসছে, করোনাও কমে আসছে। তাই আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি, কোভিডের দোয়ায় দিয়ে আর সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দিয়ে নিয়মত একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার আহবান জানা তারা।

ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ আরজু আহমেদের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া,পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল ইসলাম ভূঞয়া বলেন,‘ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থী সাক্ষরযুক্ত সম্মিলিত একটি দরখাস্ত পেয়েছি, তারা দরখাস্ততে উল্লেখ করেছে আবাসিক হল খুলে দেয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার। আমার তাদের দাবির প্রতি প্রজেটিভ। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বভাবিক হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার চিন্তা করছি।‘

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে