চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ( চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন,জাতীয় ঐক্য গঠনের শক্তিশালী প্রেরণার নাম একুশ। ভাষা শহীদদর আত্মত্যাগর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে বাঙালিদর মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা। রোববার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু :১৯৫২ থেকে ২০২১থ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এইসব কথা বলেন।

জাবির সিন্ডিকেট ও  সিনেটে নতুন সাত মুখ

তিনি আরও বলেন, বেদনা ও শাোক শক্তিত রুপান্তরিত করে একুশ বাঙালিদের আত্মপরিচয়ের উপলব্ধিত নব জাগরণের সূচনা করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালিরা ১৯৭১ সাল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করে প্রতিষ্ঠা করেছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ অর্জিত মহান একুশ আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসবে বিশ্বের প্রতিটা দেশে পালন করা হচ্ছে।

এর আগে সকাল ১০ টায় চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমেভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যাগে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শোক র‌্যালীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস. এম. মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের শুরুত পবিত্র ধর্মগ্রসমূহ পবিত্র কোরআন, পবিত্র গীতা, পবিত্র ত্রিপিটক ও পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠান ভাষা শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং ভাষা শহীদসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফরাত কামনা কর বিশেষ মােনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

যাযাদি/ এস