​স্থগিত পরীক্ষা চালুর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:২০

রাবি প্রতিনিধি

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চলমান পরীক্ষাসহ সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

এতে অনেক শিক্ষার্থীর দুই অথবা একটি পরীক্ষা থাকতেই স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তীব্র সেশনজট ও অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় এসব শিক্ষার্থীরা।

 

এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ফাইনাল পরীক্ষা পুনরায় চালু করার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে তারা।

 

এসময় এক দফা এক দাবি, স্থগিত হওয়া পরীক্ষা চালু চাই, শিক্ষা নিয়ে প্রহসন চলবে না, ১৯ এর সকল পরীক্ষা চালু চাই লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে এবং অবস্থান নিয়ে এমন স্লোগাণ দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, হঠাৎ করে পরীক্ষা স্থগিত করায় আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক সমস্যায়ও পড়ছি আমরা। ২০১৯ সালের পরীক্ষা আমাদের ২০২১ সালেও শেষ হবে কিনা আমরা সন্দিহান। তাই যেকোন উপায়ে আমাদের স্থগিত পরীক্ষা চালু করতে হবে। গত ২০ তারিখে একাডেমিক কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিলো ২০১৯ সালের সকল ফাইনাল পরীক্ষা নিবে কিন্তু কেন পরীক্ষা স্থগিত করলো। আমরা পুনরায় সকল স্থগিত পরীক্ষা চালু চাই।

 

তারা বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজশাহী এসেছি শুধুমাত্র পরীক্ষা দেয়ার জন্য এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের তিব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং অনতিবিলম্বে পরীক্ষা চালুর দাবি জানাই।

 

এসময় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী তমানিকা পিংকি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা কর্মসূচিসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অথচ আমাদের পরীক্ষা চলমান ছিল এবং দুই একটা পরীক্ষা আটকে আছে। এখন পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় আমরা পড়েছি বেকায়দায়। পরীক্ষা দেয়ার জন্য আমরা মেস ভাড়া নিয়েছি। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের পক্ষে এখন পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। এসময় তিনি হল না খুলে

 হলেও পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানান।

 

শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচিতে এসে তোপের মুখে পড়েন রাবি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান। শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, তোমরা জানো দেশের একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরী হয়েছে।  এই পরিস্থিতিতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছি।

 

তিনি বলেন, তোমরা যদি এই মানববন্ধন নাও করতে তাহলেও আমি তোমাদের পরীক্ষার ব্যাপারে প্রশাসনের সাথে কথা বলতাম। তোমাদের সামনে থাকা পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আমি ভিসি স্যারের সাথে কথা বলব। তোমাদের দাবি না মানা হলে আমি সহ আমার প্রক্টোরিয়াল বডি আপ্রাণ চেষ্টা করবো।

 

এসময় শিক্ষার্থীরা আগামী রোববার পর্যন্ত ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। তাদের পরীক্ষা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে পুনরায় আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

 

যাযাদি/ এস