​লোক প্রশাসন দিবসে ইবি শিক্ষকের প্রত্যাশা

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ২১:০০

ইবি প্রতিনিধি

 

প্রতিবছর ৩ মার্চ অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণভাবে ‘লোক প্রশাসন দিবস’ পালন করে থাকে ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ।

 

অনুষ্ঠানটি ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে করোনা পরিস্থিতিতে তারা বিভাগের শিক্ষদের নিয়ে স্বল্প পরিসরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। বুধবার বেলা ১১টায় লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

বিভাগ সূত্রে, বিগত তিন বছর ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ ৩ মার্চ ‘লোক প্রশাসন’ দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর বড় পরিসরে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি বিভাগটি।

 

দিবসটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় লোক প্রশাসন দিবসের ধারণাদাতা ও বিভাগে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক প্রফেসর ড. এ কে এম মতিনুর রহমান এবং প্রফেসর মোহাম্মদ সেলিমসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে লোক প্রশাসন দিবস উপলক্ষে শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা বলেন আমাদের প্রত্যাশা আমরা যেন করোনা পরিস্থিতিকে অতিক্রম করে নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারি এবং শিক্ষার্থীদেরকে দেশ এবং দশের সেবা করার নিমিত্তে যে যোগ্যতা দরকার সে মানসিকতা নিয়ে গড়ে তুলতে পারি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

 

প্রফেসর মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “৩ মার্চ লোক প্রশাসন দিবস। প্রতিবছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাাসন বিভাগ অত্যন্ত আড়ম্বরভাবে এ দিবস পালন করে। এ বছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না।’

 

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক হিসেব আমি গর্ববোধ করি। যতদিন বেঁচে আছি শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা দরকার সেটা দিয়ে যাব। বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেন যথাসময়ে শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে যেতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বিভাগের উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।

 

প্রফেসর ড. এ.কে.এম. মতিনুর রহমান বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারলে প্রতি বছরের মত এবছর আমরা লোক প্রশাসন দিবস পালন করতে পারিনি। এ জন্য আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে একটা মনোকষ্ট রয়েছে। আশা করছি আগামী বছর থেকে আবারও অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে এ দিবসটি পালন করা হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, লোক প্রশাসন বিষটা দেশ, জাতি, রাজনীতি এবং প্রশাসনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। লোক প্রশাসন বিভাগ নিঃসন্দেহে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের একটি গৌরবোজ্জল বিভাগ। এ বিভাগের শৃঙ্খলা, শিক্ষদের মধ্যে একাগ্রতা, শিক্ষাদান ও গবেষণা বিষয়ে দক্ষতা জন্য বিশ^বিদ্যালয়ে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বিভাগ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যারা এ বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে পড়াশোনা শেষ করেছে তারা দেশে ও বিদেশে অনেক কৃতৃত্বের স্বাক্ষর রাখছে এবং সফলতার সাথে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখছে।

 

লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, “আমরা গত ৩ বছর ধরে অত্যন্ত  আড়ম্বরপূর্ণভাবে লোক প্রশাসন দিবস পালন করি। বিশ^ব্যাপী করোনা পরিস্থিতি কারণে এ বছর আমরা এ দিবসটি উদ্যাপন করতে পারছি না। তারপরও দিবসটির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য আমরা স্বল্প পরিসরে আমার বিভাগের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।”

 

তিনি আরও বলেন, লোক প্রশাসন এমন একটি বিষয় যেটি সরকারের নীতি প্রণয়নে পরোক্ষভাবে এবং নীতি বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে থাকে। তাই নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে যে দক্ষ, সৎ এবং যোগ্য গ্রাজুয়েট দরকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ ১৯৯০ সাল থেকে বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে।

 

যাযাদি/এস