করোনাকালীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণ যা করতে পারেন

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৩৫

বরুড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

বরুড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারির কারণে গত একবছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষক কর্তৃক পাঠদান যথারীতি বন্ধ রয়েছে। ২০২১ সালের চতুর্থ মাস চলছে ।২০২১ সালে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া এখনো সম্ভব হয়নি । সব কিছু স্বাভাবিক হলে মে মাসের শেষের দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে করোনা মহামারির উর্ধগতি চলছে। কখন করোনা বন্ধ হবে কিংবা কন্ট্রোলে আসবে তা একমাত্র মহান আল্লাহ জানেন।

 

শিক্ষকতা পেশা অন্য সব পেশা’র মত নয়। শিক্ষকতা পেশা মহান সেবা মূলক পেশা। করোনাকালীন সম্মানিত শিক্ষকগণের উচিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের অনেক শিক্ষক গত এক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়িঁয়েছেন।নিজের টাকা খরচ করে ভার্চুয়াল ক্লাস পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ঘাটতি পুশিয়েছেন। অন্য সহকর্মী শিক্ষকদেরকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবী রাখে। আবার অনেক শিক্ষক গত একবছর অলস সময় কাটিয়েছেন। প্রাইভেট টিউশনি করে ব্যক্তিগত লাভবান হয়েছেন। যারা অনলাইন ক্লাস চালিয়েছেন তাঁরা শুধু ক্লাস পরিচালনাই করেননি তাঁরা নিজেদের পেশাগত দক্ষতা জাতির সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন । অনেক শিক্ষক অনলাইনে ক্লাস নিলে নিজেদের পেশাগত দুর্বলতা প্রকাশ পাবে বিধায় নানা অজুহাত দেখিয়ে অনলাইন ক্লাস থেকে দূরে থেকেছেন । তিনি আরোও বলেন-

 

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ঘাটতি পুশিয়ে দিতে শিক্ষকগণ যা করতে পারেন #

 

১। সকল শিক্ষকদের উচিত অনলাইন পাঠাদান করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফেস বুক পেইজ এ ।

 

২। অনলাইন ক্লাস সম্পন্ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ড্যাশবোর্ডে ( www.mmcm.gov.bd ) তথ্য আপলোড নিশ্চিত করা এবং শিক্ষক বাতায়ন এ আপলোড করা ।

 

৩। অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য শিক্ষকদের এলাকা ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করা ।

 

৪।প্রতিষ্ঠান প্রধান এর সহায়তায় একজন শিক্ষক প্রতিদিন অন্তত ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় ১০ জন শিক্ষার্থী / অভিভাবকদের সাথে কথা বলা , শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া ,প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া ।

 

৫। ইতিমধ্যে যে সকল শিক্ষক অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় দক্ষতা দেখিয়েছেন তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা নেয়া । ( যারা অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় পারদর্শী নন ) ।

 

৬। নিজস্ব বাসায় অনলাইন ক্লাস পরিচালনার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি থাকলে বাসা থেকেই অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করা ।

 

৭। শিক্ষার্থীদের Assignment বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা দেয়া এবং শতভাগ শিক্ষার্থীকে Assignment কার্যক্রমে যুক্ত রাখার ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখা এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সহায়তা করা ।

 

১০। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যাসমূহ সমাধানে সচেষ্ট থাকা ।

 

১১। যে সকল শিক্ষক প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ তাঁদের উচিত প্রতিষ্ঠান প্রধানের আয়োজনে ভার্চুয়ালি সহকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া ।

 

১২। Google form ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের multiple choice, short answer কিংবা Paragraph টাইপের উত্তর গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা ।

 

১৩ । প্রতিষ্ঠান প্রধানকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা ।

 

১৪। সহকর্মী শিক্ষকদের সাথে উল্লেখিত বিষয় সমূহ সমন্বয় করা ।

 

১৫ । এসএসসি / দাখিল পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে বিশেষ ক্লাস নেয়া ।

 

১৬ । উল্লেখিত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সহায়তা নেয়া ।

 

উল্লেখিত কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য মাঝে মাঝে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়ে মতবিনিময় করা ।

 

যাযাদি/ এস