এনটিআরসিএ’র ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ১৬:৫১

যাযাদি ডেস্ক

 

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। ফলে বহু প্রত্যাশিত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গেল।

 

বৃহস্পতিবার (৬ মে) এনটিআরসিএর ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার আদেশ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একইসঙ্গে ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদধারীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত মনে করে আদালতে গিয়েছিলেন তাদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করার নির্দেশ দিতে হবে। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

 

বৃহস্পতিবার এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন জানান, রায়ের বিষয়ে জানতে পেরেছি। তবে এখনও রায়ের কপি হাতে পাইনি। আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করব এবং পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

 

তিনি বলেন, ‘আমরা যা করেছি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ীই করেছি। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো পদক্ষেপ আমরা নিইনি, নেবও না। ’

 

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশ করার দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।

 

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে। কিন্ত ২ বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি করে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা।

 

জানতে চাইলে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বলেন, এই গণবিজ্ঞপ্তিতে ৯০ লাখ আবেদনের গুরুত্ব সংশ্লিষ্ট সবাইকে বোঝা উচিত। এভাবে মামলার বোঝা নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তাছাড়া এনটিআরসিএ এর আইনজীবীরা আদালতের কাছে কীভাবে ইন্টারপ্রেট করে সেটা নিয়ে নিবন্ধনধারীদের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। এটা কি অক্ষমতা নাকি অবহেলা নাকি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত তা খতিয়ে দেখা উচিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। এনটিআরসিএ এর বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে আরও আন্তরিক হতে হবে।

 

তিনি বলেন, এই গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে অনেক বেশি আবেদন করেছে প্রার্থীরা। কোনরকম কোন অবহেলা বা অন্যায় হলে কেউ তা সহজে মেনে নেবে না।

 

যাযাদি/এসআই